শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
আক্তারুজ্জামান : সেই একই মাঠ, একই প্রতিপক্ষ, শুধু বাংলাদেশটাই আলাদা! তবে কি সেনাপতিই পাল্টে দিলেন দলকে? ৪৮ দিন পর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে সাকিব যখন টস করতে মাঠে নামলেন তখনই যেন মাঠের চেহারা বদলে যেতে শুরু করলো। জিতলে ফাইনাল, হারলে বিদায়, এমন সমীকরণ নিয়ে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে বাংলাদেশ। অঘোষিত সেই সেমিফাইনালে দলকে নেতৃত্ব দিতে দেশ থেকে ছুটে কলম্বো যান সাকিব। আর গিয়েই দলকে তুলে নিলেন ফাইনালে!
শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২৩ রান। মেহেদি হাসানকে নিয়ে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ। মেহেদি রান আউটে ফিরে গেলে রুবেল আসেন ক্রিজে। আর তখনই যেন এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। মাঠের বাইরে থাকা সোহানের সাথে তর্কে জড়ান লঙ্কান ফিল্ডাররা। সাকিব খেলা শেষ না করে ফিরে আসতে বললেও দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের পরামর্শে ম্যাচ শেষ করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ। শেষ ৪ বলে দরকার ১২ রান। প্রথম বলে ৪, দ্বিতীয় বলে ২ রান। এরপর ২ বলে দরকার ৬ রান। তবে এ ছয় রান করতে আর দুটি বল খেলতে হয়নি মাহমুদুল্লাহর। ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন। এর সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ।
কলম্বোতে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন ইনজুরি থেকে দলে ফেরা সাকিব আল হাসান। সাকিব দলে ফেরায় যেন পুরো বাংলাদেশ দলের চেহারায় পাল্টে যায় গতকাল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল টাইগাররা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বেশ চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে দুই পেরেরার জুটিতে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩২ রানে ৪ উইকেট হারানো লঙ্কানরা শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে রান তোলে ১৫৯। যার মধ্যে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে থিসারা পেরেরা ও কুশল পেরেরা যোগ করেন ৯৭ রান। কুশল পেরেরা ৪০ বলে ৬১ ও থিসারা পেরেরা ৩৭ বলে করেন ৫৮ রান।
১৬০ রানের জবাবে গত দুই ম্যাচের মতো গতকালও তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যায় লিটন দাসকে। তবে ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই দলীয় ১১ রানে ধনঞ্জয়ার বলে পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন। ওয়ানডাউনে এদিন দলনায়ক ক্রিজে পাঠান সাব্বির রহমানকে। ৩টি চারের সাহায্যে ৮ বলে ১৩ রান করেই আবারও ধনঞ্জয়ার শিকারে ফিরে যান।
এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন গত দুই ম্যাচে ৭২ রানের জোড়া ইনিংস খেলা মুশফিকুর রহিম। ৬৬ রানের জুটি গড়ে আপেনসোর বলে ২৮ রানে ফিরে যান তিনি। এ সময় দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফিরে দলকে চাপে ফেলেন সৌম্য ও তামিম। ৪২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলার পথে ৪টি চারের মার ও ২টি ছয়ের মার মারেন।