মাহমুদুল্লাহ ঝড়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
আক্তারুজ্জামান : ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে গতকাল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের দরকার ২৩ রান। সাকিবের অপ্রত্যাশিত আউটের পর মেহেদি হাসানকে নিয়ে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় ক্রিজে মাহমুদুল্লাহ। মেহেদি ০ শূন্য রানে ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজ। ২ বল খেলে তিনিও ফিরে গেলেন ০ (শূন্য) রানে। তবে এ সময় ঘটে এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। শেষ ওভারের প্রথম দুই বল বাউন্সার ছিল। নিয়ম অনুযায়ী এক ওভারে একটির বেশি বাউন্স দেওয়া যায় না। যার ফলে দ্বিতীয় বাউন্সারটিতে লেগ আম্পায়ার নো বলের সংকেত দিলেও মূল আম্পায়ার তা মানেননি। উত্তেজনা হঠাৎ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সাকিব খেলা শেষ না করে ফিরে আসতে নির্দেশ দেন ক্রিজে থাকা রিয়াদ ও রুবেলকে। তবে দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের পরামর্শে রুবেলকে নিয়ে খেলা চালিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ।
শেষ ৪ বলে দরকার ১২ রান। প্রথম বলে মাহমুদুল্লাহর চারের মার, দ্বিতীয় বলে নিলেন ২ রান। এরপর ২ বলে দরকার ৬ রান। তবে এ ছয় রান নিতে তাকে আর দুটি বল খেলতে হয়নি। ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরেই জয় ছিনিয়ে নেন। এরই সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠে সারা বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের দেয়া ১৬০ রানের জবাবে গত দুই ম্যাচের মতো গতকালও তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস। তবে ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই দলীয় ১১ রানে ধনঞ্জয়ার বলে ফিরে যান লিটন। ওয়ানডাউনে দলনায়ক সাকিব ক্রিজে পাঠান সাব্বিরকে। ৩টি চারের সাহায্যে ৮ বলে ১৩ রান করে আবারও ধনঞ্জয়ার শিকার হন তিনি। এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন গত দুই ম্যাচে ৭২ রানের জোড়া ইনিংস খেলা মুশফিক। ৬৬ রানের জুটি গড়ে আপেনসোর বলে ২৮ রানে ফিরে যান তিনি। দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফিরে দলকে চাপে ফেলেন সৌম্য ও তামিম। ৪২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলার পথে ৪টি চারের মার ও ২টি ছয়ের মার মারেন তামিম।
দলের হাল ধরতে এ সময় ক্রিজে আসেন সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ। দেখেশুনে খেলে এগিয়ে যেতে থাকেন এ জুটি। ১৯ বলে ২৮ রানের এ জুটি জয় থেকে ২৩ রান দূরে থাকতে ভেঙে দেন ইসুরু উদানা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৮ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেতে একটুও বেগ পেতে হয়নি তার।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বেশ চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে দুই পেরেরার জুটিতে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩২ রানে ৪ উইকেট হারানো লঙ্কানরা শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে রান তোলে ১৫৯। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে থিসারা পেরেরা ও কুশল পেরেরা যোগ করেন ৯৭ রান। কুশল পেরেরা ৪০ বলে ৬১ ও থিসারা পেরেরা ৩৭ বলে করেন ৫৮ রান।
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে আগেই জায়গা করে নিয়েছে ভারত। শিরোপা দখলের লড়াইয়ে আগামীকাল এই মাঠেই ভারতের বিরুদ্ধে নামবে বাংলাদেশ দল। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী