ইসলামে ঝাড়-ফুঁকের বিধান
হুমায়ুন আইয়ুব : জীবনের সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র আল্লাহর কাছেই। তার প্রতিই বিশ্বাস রাখতে হবে। কোনো ধরনের শিরকি কার্যক্রমে সম্মত দেয় না ইসলাম। তবে কুরআনের আয়াত, ওলী আউলিয়াদের বিশেষ আমলের মাধ্যমে ঝাড় ফুঁক করা জায়েজ। তবে আল্লাহ ছাড়া যদি অন্যের সাহায্য প্রার্থনা করা হয়, যেমন, জ্বিনদের, ফেরেশ্তাগণের, নবীগণের এবং নেক লোকদের নাম উচ্চারণ করে ঝাড়-ফুঁক করা হয় তা হারাম ও না জায়েয। যে ঝাড়-ফুঁকে শিরকের লেশ মাত্র থাকে না তা বৈধ। যেমন যে রোগীর ওপর কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করা হয় অথবা আল্লাহর নাম ও তাঁর গুণাবলীর নামসমূহ দ্বারা রোগ মুক্তি চাওয়া হয়, এমন ঝাড়-ফুঁক জায়েয। কারণ রাসূল (সা.) এমন ঝাড়-ফুঁক দিয়েছেন ও সমর্থন করেছেন। এ ব্যাপারে আওফ বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা জাহেলিয়াতের যুগে ঝাড়-ফুঁক করতাম, তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ ব্যাপারে আপনার কি অভিমত ? উত্তরে রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা আমার নিকট তোমাদের ঝাড়-ফুঁকের কথাগুলো উপস্থাপন করো। শিরক না হলে তো ঝাড়-ফুঁকে কোনো দোষ নেই। (মুসলিম)
আল্লামা সুয়ূতী (রহ.) বলেন : তিনটি শর্তে ঝাড়-ফুঁক জায়েয হওয়ার ব্যাপারে আলেমগণ একমত পোষণ করেছেন। তা হলো : ১. ঝাড়-ফুঁক কুরআন ও আল্লাহর নাম ও তাঁর গুণাবলীর নামসমূহ দ্বারা হতে হবে। ২. আরবি ভাষায় হতে হবে, যার অর্থ বুঝা যায়। ৩. এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ঝাড়-ফুঁকের নিজস্ব কোন প্রভাব নেই বরং আরোগ্য আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। (ফাতহুল মাজিদ পৃষ্ঠা ১৩৫) সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন