ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ নেতা শাওনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন
মাহমুদুল হাসান রতন, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওনের মরদেহ দাফনের ১০ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ফুলবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিউলি হরি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ কুমার রায়।
কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত মধ্যরাতে নগরীতে গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রলীগ নেতা শাওন। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ মার্চ দুপুরে মারা যান শাওন।
এ ঘটনায় শাওনের বাবা জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কদ্দুস মামলা না করে তিনি আল্লাহর কাছে হত্যাকারীদের বিচার দাবি জানান।
পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পাল্টা-পাল্টি সমাবেশ থেকে শাওনের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করা হয়। বুধবার (১৪ মার্চ) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত, এসএম আরিফুল হক ওরফে পিচ্চি আরিফ ও আমিনুল ইসলাম হিমেল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান