মশা নিধনে লোকবল সংকটে ডিএনসিসি : ওসমান গণি
শাকিল আহমেদ : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মশক নিধনে লোকবল সংকট রয়েছে। ইতোমধ্যে লোকবল বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। লোকবল পেলে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে বলে জানান ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র ওসমান গণি। গতকাল রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি মিলনায়তনে ওসমান গণির সভাপতিত্বে মশক নিধনে নেওয়া নানা কর্মসূচিসমূহ তুলে ধরেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। নানামুখী কর্মসূচি নিয়েও কেন মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না জানতে চাইলে ওসমান গণি বলেন, আমিও একজন কাউন্সিলর। জনপ্রতিনিধি হিসাবে নিজ এলাকার জনগনের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। আমরা লোক দেখানো কাজ করছি না। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছি। সাংবাদিকদের লেখনির মাঝে আমরা কাজে উৎসাহ পাই। এ সময় মশক নিধনে নানা সমস্যা ও সমাধের জন্য পরার্মশ দেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চারটি ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়েছে। ডিএনসিসিতে ২৮১ মশক নিধন কর্মী কাজ করছেন। ৩১৬টি ফগার মেশিন ও ১০টি হুইল ব্যারো মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। ২ হাজার ১৫৩ বিঘা ডোবা-জলাশয়ের কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডোবা-নালা, জলাশয় ও অন্যান্য মশার প্রজননস্থলে লার্ভিসাইড ওষুধ স্প্রে করা হয়। এছাড়া সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সূর্যাস্তের একঘণ্টা আগে থেকে একঘণ্টা পর পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ফগার মেশিনের সাহায্যে উড়ন্ত মশা নিধন করা হয়। আজ ২০ মার্চ থেকে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত সেবা সপ্তাহ পালন করবে ডিএনসিসি।
এসব কার্যক্রমের বাস্তব কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্ন আসে বিভিন্ন মালিক সমিতি, কল্যাণ সমিতি, হাউজিং সোসাইটির নেতাদের বক্তব্য থেকে। তারা বলেন ডিএনসিসি থেকে তাদের সোসাইটিতে কোন ওষুধ সরবারহ করা হয় ন। উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা. মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১১ নম্বর সেক্টরের মধ্যে বেশ কিছু ফাকা প্লট রয়েছে। সেখানে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে মশা বাড়ছে। হোটেলগুলোর ফেলে রাখা ময়লা থেকেও মশার বংশবিস্তার ঘটে। এছাড়াআব্দুল্লাহপুর খালে মশার জন্ম হয় উল্লেখ করে সেটি বর্ষার আগে পরিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মালিক সমিতি, কল্যাণ সমিতি, হাউজিং সোসাইটির সদস্য ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।