বাড়িতে মশার জীবাণু পেলে জেল-জরিমানা : মেয়র খোকন
শাকিল আহমেদ : রাজধানীর কোন বাসা বাড়িতে এডিস মশার জীবাণু পেলে জেল ও জরিমানা করা হবে। ক্ষেত্র বিশেষ উভয় দ-ে দ-িত করা হবে। এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে বাসাবাড়িতে মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। গতকাল নগর ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ কর্মসূচির আওতায় মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধ ও মশক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে সাঈদ খোকন বলেন, আমরা আগে কখনো যা করিনি আজকের সভা থেকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আমরা আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। আপনার বাসাবাড়ি আপনি পরিষ্কার করুন। ৮ এপ্রিল থেকে বাসাবাড়িতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
এসময় তিনি আইনের ব্যাখা তুলে ধরে বলেন, আমাদের পেনাল কোর্টের ২৬৯ এবং ২৭০ এর আওতায় দ-িত করার বিধান রয়েছে। আমরা চাইন না কোনো নাগরিক কোনোক্রমে বিব্রত অবস্থায় পড়ুক। পাশাপাশি এও চাই কারো অবহেলয় অন্য কোনো নাগরিক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন।
সাঈদ খোকন বলেন, ভবনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোনোক্রমেই যেন এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র না থাকে এটা নিশ্চিত করতে আজ (২০ মার্চ) থেকে গণমাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। গণবিজ্ঞপ্তির মধ্যে থাকবে প্রত্যেক নাগরিক নিজের বাসাবাড়ি বা বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত টায়ার,কন্টেইনারে স্বচ্ছ পানি জমে থাকলে পরিচ্ছন্ন রাখুন। এ জন্য ১ লাখ ৬৫ হাজার হাউজহোল্ডে সচেতনতামূলক এই গণবিজ্ঞপ্তি পৌঁছে যাবে বলে জানান মেয়র।
তিনি বলেন, আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম ২০ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া রেডিও, টেলিভশনসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের কার্যক্রম আরো জোরদার করতে চাই, যাতে জনগণ আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। পাশাপাশি আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব মশার প্রজনন নষ্ট করতে আমাদের কার্যক্রম চলবে।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা.এবিএম আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজা মোহাম্মদ হাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দেবাশীষ সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, আইসিডিডিআরবির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুজহাত নাসরিন বানু, সেফওয়ে পেস্ট কন্ট্রোলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মঞ্জুর চৌধুরী প্রমুখ।