মুক্তিযুদ্ধে কার কী অবদান তা আমাদের জানতে হবে : গাজীপুরে রাষ্ট্রপতি
মো. মিলটন খন্দকার,গাজীপুর : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, খন্ডিত ইতিহাস কোনো জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধে কার কী অবদান তা আমাদের পরিপূর্ণভাবে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং গণতান্ত্রিক চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে। আমাদের নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মুক্তিযুদ্ধের সাথে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১’র ২৬ মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষনা দেয়া পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামই ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি গতকাল সোমবার বিকেল গাজীপুরে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ স্বাধীনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর ও শহীদদের স্মরণে নাগরিক সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ১৯ মার্চ স্বাধীনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন কমিটি আয়োজিত এবং গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের কথা সবারই জানা। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষনে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন। এই ভাষনের প্রতিটি কথাই যেন ছিল এ দেশের মানুষের মনের কথা, তাদের অব্যক্ত আকুতিরই বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা এখন স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশটির জন্ম সে দেশ আজ সগৌরবে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজীপুরবাসী যে বীরত্ব ও সাহস দেখিয়েছিলেন এদের ইতিহাস স্বরণীয় হয়ে থাকবে। এর আগে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক তাকে উত্তরীয় ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতিও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন।