এই পরাজয় গ্লানির নয় গৌরবের : প্রধানমন্ত্রী
আনিসুর রহমান তপন : কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে টিম বাংলাদেশ পরাজিত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেœহ ও আদর থেকে বঞ্চিত হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় তা আবারও প্রমাণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভা বৈঠক সূত্রে জানাগেছে এ তথ্য। গতকাল সোমবার তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার সিনিয়র এক সদস্য জানান, বৈঠকে রোববার সন্ধ্যায় শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ফাইনাল খেলার সাফল্য-ব্যর্থতাসহ খুঁটিনাটি বিষয়ের আলোচনা শুরু করেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের মন্ত্রিসভাকে জানান, ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা বীরের মতো লড়াই করেছে। খেলায় হারলেও এই পরাজয়ে কোনো গ্লানি নেই। বরং গৌরবের। কাদের বলেন, আগের খেলায় বাংলাদেশ লড়াই করে যেমন শেষ বলে ছক্কা (ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ছয় রান) মেরে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেয়, তেমনই শেষ বলে ভারতীয় এক খেলোয়াড় ছক্কা মেরে বাংলাদেশের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলায় অনেক উন্নতি করেছে। নিদাহাস ট্রফির পুরো টুর্নামেন্টেই টিম বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভাকে আরো জানান, খেলা শেষ হওয়ার পরপরই আমি বিসিবি প্রধান নাজমুল হক পাপনকে ফোন দিয়েছি। পাপনকে বলেছি, টিম বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছে। ফাইনালে পরাজিত হওয়ার কারণে টিম বাংলাদেশকে নেগেটিভ জাতীয় কোনো কথা না বলে খেলোয়াড়রা যাতে তাদের সাফল্যকে ধরে রাখতে পারে সেজন্য উৎসাহ দেয়া হয়। এ ঘটনায় তারা হতাশ না হয়ে ভবিষ্যতের জন্য যাতে উজ্জীবিত হতে পারে। কারণ টিম বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আসলেই পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছে। ওরা যেনো মনোবল না হারায়। ওদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই, মনক্ষুণœœ হওয়ারও কিছু নেই। ওরা খুব ভাল খেলেছে। ওদের খেলায় যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেষে একটি বল ছিল। এক বলে চারও হতে পারতো। ভারত চার মারলে আমরা জিততাম। তা না হয়ে ছয় হয়ে গেছে, ভারত জিতে গেলো। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। কাজেই মন খারাপ না করে ভবিষ্যতে যাতে আরো ভালো খেলা দেশবাসীকে উপহার দিতে পারে সে বিষয়ে উৎসাহ দিতে বলেছি।
এদিকে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিসভায় নতুন ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮’ রংপুর বিভাগকে বরেন্দ্র অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮’, ‘সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন আইন, ২০১৮ ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সম্পাদনা : তরিকুল ইসলাম সুমন