যুবলীগ নেতা কর্তৃক আঙ্গুল কাটা শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিলেন পুলিশ সুপার
নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ) : তাহিরপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল অদুদের বর্বরতার শিকার প্রথম শ্রেণির ইয়াহিনের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খাঁন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত অদুদ মিয়ার ছোট ভাই আলম মিয়াকে (৩০) রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাহিরপুর থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ বাজার এলাকা থেকে আলম মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আলম মিয়া সুলেমানপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার শিশুর মা দিলরাজ বেগম ও শিশু ইয়াহিনকে শান্তনা দিয়ে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি যত শক্তিশালী হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তিনি মা দিলরাজ বেগমের হাতে ইয়াহিনের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা তুলে দেন এবং ইয়াহিনের চিকিৎসার পুরো ব্যয়ই সুনামগঞ্জ পুলিশ বহন করবে বলে জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন রোববার সন্ধ্যায় শিশুর গ্রামের বাড়ি সুলেমানপুরে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামও রোববার রাতে আহত শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান।
তাহিরপুরের মহালিয়া হাওরপাড়ে ময়নাখালি বাঁধের উপর উঠা ও বাঁধ থেকে গড়িয়ে পড়ার সময় বাঁধের ক্ষতি হয়েছে এমন অভিযোগ তোলে শিশু ইয়াহিন মিয়ার ডান হাতের ৪টি আঙ্গুল কেটে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি অদুদ মিয়া। আহত ইয়াহিন মিয়া সুলেমানপুর গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে। সে শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র। সম্পাদনা : আবদুল্লাহ মজুমদার