নেপালে প্রথম জানাজা বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাশ গ্রহণ
তরিকুল ইসলাম : নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২৩ বাংলাদেশির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে তাদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। তার আগে মরদেহগুলো সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইউএস-বাংলার কর্মকর্তারা তাদের জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে মৃতদেহগুলো ঢাকার উদ্দেশ্য দেশটির ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে মরদেহগুলো গতকাল বিকালে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ৪টা ৪৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লাশগুলো গ্রহণ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সটার্নাল পাবলিকেশন্স উয়িং এবং কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
যাদের মৃতদেহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে তারা হলেনÑ ফয়সল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আক্তারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, হাসান ইমাম, আঁখি মণি, মিনহাজ বিন নাসির, এফ এইচ প্রিয়ক, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানবিন শশী রেজা, উম্মে সালমা, অনিরুদ্ধ জামান, নুরুজ্জামান এবং রফিক উজ জামান। এছাড়া এই ২৩ জনের মধ্যে ইউএস-বাংলার পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি এবং শারমিন আক্তার নাবিলা রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, আর্মি স্টেডিয়ামে তাদের জানাজা শেষে সেখানেই স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের স্বজনদের মধ্যে যারা কাঠমান্ডুতে গিয়েছিলেন, তাদেরও ইউএস বাংলার একটি বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সম্পাদনা : আনিস রহমান