বিদেশিদের বিয়ে করা নিয়ে সৌদির নতুন শর্ত
ওমর শাহ : বিদেশিদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে নতুন সংশোধনী এনেছে সৌদি সরকার। বিয়ের ক্ষেত্রে একজন সৌদি পুরুষ ও একজন বিদেশি স্ত্রীর মধ্যে কমপক্ষে ১৫ বছরের পার্থক্য থাকতে হবে। আর সৌদি নারীদের বিদেশি স্বামী গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বামীর বয়স ৫০-এর বেশি হওয়া যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বিদেশিদের সঙ্গে সৌদি নাগরিকদের বিয়ের ক্ষেত্রে করা তালিকায় ১৭টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দম্পতিদের বয়সের পার্থক্য ১৫ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। এর আগে ছিল ৩০ বছর। আর সৌদি নারীদের মধ্যে যিনি বিদেশি স্বামী নিতে চান তার বয়স কখনোই ৫০ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। এর আগে সর্বোচ্চ ৫৫ বছরের কথা উল্লেখ ছিল।
সৌদি আরবের আইন মন্ত্রণালয়ের মতে, বিবাহিত সৌদি নারীদের শতকরা ১০ ভাগ তথা প্রায় ৭ লাখের মতো সৌদি নারী বিদেশিদের বিয়ে করেন। তবে ঠিক কতজন সৌদি পুরুষ বিদেশিদের বিয়ে করেন এর প্রকৃত তথ্য জানা যায়নি।
সৌদি পরিবারগুলোর কল্যাণের জন্য চ্যারিটেবল সোসাইটির আওসিরের প্রধান তৌফিক আল সোয়ায়লেম বলেন, গত ২০ বছরে বিদেশি নারীদের সঙ্গে বিয়ে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। যৌতুকের উচ্চ হার, বিয়ের খরচ, কম আয় এবং পারিবারিক জ্ঞানের অভাব প্রভৃতি কারণেই সৌদি পুরুষরা বিদেশিদের স্ত্রী রূপে গ্রহণ করছেন।
সৌদি ডেইলি আল ওয়াতানের খবরে বলা হয়, সৌদির বিদেশি স্ত্রীদের শতকরা ৬৪ ভাগ এশিয়ার দেশগুলো থেকে এসেছে। এ ছাড়া শতকরা ১৯ ভাগ আফ্রিকান, আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর শতকরা ৪ দশমিক ৩ ভাগ এবং পশ্চিমের দেশগুলো থেকে আসা বিদেশি নারীরা হলেন শতকরা ৪ ভাগ।
সৌদি নাগরিকদের বিদেশিদের বিয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। সংশোধনীর নিয়ম অনুসারে, একজন সৌদি পুরুষের বয়স ৪০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হলে তিনি বিদেশি কোনো নারীকে বিয়ে করতে পারবেন। অন্যদিকে এক সৌদি নারী বিদেশি কোনো পুরুষকে বিয়ে করতে চাইলে তার বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
একজন সৌদি পুরুষ বিয়ে করে মাসে কমপক্ষে তিন হাজার সৌদি রিয়াল খরচ করে কোনো বাড়িতে থাকতে পারবেন। আবার যাকে তিনি বিয়ে করবেন তার বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে এবং বয়সের পার্থক্য কোনোমতেই ১৫ বছরের বেশি হওয়া যাবে না।