একনেকে ৯ হাজার ৬৮০ কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে নির্মাণ হচ্ছে ৩১৭ কি.মি. সড়ক
সাইদ রিপন : পার্বত্য তিন জেলার সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে ৩১৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল গঠিত। এ তিনটি জেলার মোট আয়তন ১৩ হাজার ২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ভারতের সাথে প্রায় ৩৩০ কি. মি. এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারের সাথে প্রায় ২১০ কিলোমিটারসহ মোট ৫৪০ কি. মি. সীমান্ত রয়েছে। মূলত অবৈধ অস্ত্র, চোরাচালান ও ড্রাগসের ব্যবসা বন্ধ করতেই প্রথম পর্যায়ে এ বাস্তবায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি সড়কগুলো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে। চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণসহ ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬৮০ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৯ হাজার ৫৯১ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৮৯ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভাশেষে পরিকল্পমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদ সম্মেলন করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় নিহত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে একনেক। সম্প্রতি কাঠমন্ডুতে বিমান দূর্ঘটনায় নিহত দু জন হলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সিনিয়র সহকারী নাজিয়া আফরিন চৌধুরী এবং সহকারী প্রধান উম্মে সালমা। এই দুই দক্ষ কর্মকর্তার শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে, তা সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। এ সময় মন্ত্রী তার মায়ের মৃত্যুর কথা তুলে ধরেন এবং সবাইকে দোয়া করতে বলেন।
সভায় পায়রা সমুদ্র বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে সংশোধনীয় প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫০কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে অনুমোদনের সময় প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রায় ১০ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং নতুন অংগ যুক্ত হওয়ায় পায়রা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটির দুই হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় বাড়ছে। আমরা এ বন্দরটিকে পূর্ণাঙ্গ গভীর সমুদ্র বন্দরে রূপান্তর করতে চাই। সেজন্য এর প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আামাদের এখন ফাইনাল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত দেশে যাওয়া। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উড়ির চরে বসবাসকারী জলদস্যুরা যদি আতœসমর্পণ করেন তাহলে তাদের কাজ দেয়া হবে। এছাড়া চরকুকরি মুকরিতে নদীভাঙ্গন বাঁধে গাছ লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।