জম্মু কাশ্মীরের স্বাধীনতাপন্থী দল হুরিয়াত থেকে গিলানির পদত্যাগ
ইমরুল শাহেদ : জম্মু কাশ্মীরের তেহরীক-ই-হুরিয়াতের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মোহাম্মদ আশরাফ শেহরাইকে সোমবার সৈয়দ আলী শাহ গিলানির স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে সোমবার। এখন থেকে পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত হুরিয়াতের চেয়ারম্যান থাকবেন শেহরাই। শ্রীনগরে দলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি অতিরিক্ত বৈঠকে মজলিশে সুরার সদস্যরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলটির পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত মোহাম্মদ আশরাফ শেহরাই দলটির অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।’ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় গিলানির হাইডারপোরার বাড়িতে। বিবৃতিতে বলা হয়, তবে গিলানি অল পার্টিজ হুরিয়াত কনফারেন্স (এপিএইচসি) -এর চেয়ারম্যান থাকবেন। এই কনফারেন্সে অন্তত ২৪টি ছোট ছোট দল আছে। এপিএইচসির অপর একটি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হলেন মীরওয়াইজ উমর ফারুক।
২০১৬ সালের ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদীনের কমান্ডার বোরহান ওয়ানী ভারতীয় সেনা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর গিলানি, মীরওয়াইজ এবং জেকেএলএফ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক ‘জয়েন্ট রেসিস্ট্যান্স লিডারশিপ’ নামে একটি ফ্রন্টে সমবেত হয়েছেন।
সোমবারের ঘোষণার মধ্য দিয়ে গিলানির উত্তরসূরি নিয়ে চিন্তাভাবনার অবসান হয়ে গেল। গিলানি মূলত শেরাইকেই তার উত্তরসুরি নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কারণ গিলানির কাছে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক।
শেহরাইও গিলানির মতো জামাত-ই-ইসলামী মনোভাবাপন্ন। তিনি ২০০৪ সালে তেহরিক-ই-হুরিয়াত দল গঠন থেকেই মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি এই দলটি গঠন করেছেন যখন দিল্লি সরকারের সঙ্গে আলোচনাকে কেন্দ্র করে এপিএইচসিতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।
সুরা সদস্যদের উদ্দেশ্যে এক বক্তৃতায় গিলানি বলেন, তিনি জেল, জিজ্ঞাসাবাদ, ঘরোয়া সংকট, শারিরীক এবং মনস্তাত্ত্বিক – সব স্থানেই অবস্থান সুদৃঢ় রেখেছেন।
তিনি বলেন, গত বছর থেকে তিনি গৃহবন্দী আছেন। দলের লোকদের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দলের কার্যক্রমও চাপের মুখে পড়েছে। শুধু একটি পদ আকড়ে রেখে কাজ করা না গেলে তাতে পদেরই অমর্যাদা করা হয়। আজ আমি বিবেক তাড়িত হয়ে স্বেচ্ছায় চেয়ারম্যানের পদ ত্যাগ করছি। সুরা সদস্যদের প্রতি আমার পরামর্শ হলো যত দ্রুত সম্ভব তারা যেন আমার বিকল্প নির্বাচন করে নেন।’ ডন