গুগল সার্চে সবচেয়ে বেশি খোঁজা মানুষের তালিকায় পুতিন
সাঈদা মুনীর : গুগল সার্চে সবচেয়ে বেশি খোঁজা মানুষের তালিকায় রয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তার বিয়ে হয়েছে কিনা, বাম হাতি কিনা, কতটা ধনী এসব বিষয়ে সবাই জানতে চান। রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চতুর্থ বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন পুতিন। ফলে তিনি ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকছেন। সুতরাং তার সম্পর্কে গুগলে সার্চের সংখ্যা যে আরও বাড়বে সন্দেহ নেই। তিনি বিবাহিত না। যতদূর জানা যায়, তিনি এখন আর বিবাহিত নন। ৩০ বছরের বিবাহিত জীবন শেষে ২০১৩ সালে তার স্ত্রী লুডমিলার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
গুজব রয়েছে যে, সাবেক জিমন্যাস্ট আর রাজনৈতিক অ্যালিনা কাবেইভার সঙ্গে তিনি প্রেম করছেন। কিন্তু এই গুজব সত্যি কিনা, তার কোনো ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি।
ভøাদিমির পুতিনের পুত্র নাই সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, তার দুইটি মেয়ে রয়েছে। তাদের নাম ক্যাটেরিনা ও মারিয়া। তাদের বিষয়ে বেশি কিছু জানা যায় না, তবে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ক্যাটরিনা ও তার স্বামী অত্যন্ত ধনী।
তিনি কি বাঁ-হাতি না, যদি না এই কয়েক মাসে অন্যকিছু ঘটে যায়। তিনি খুব ভালোভাবেই ইংরেজি বলতে পারেন।
রাশিয়ার নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পুতিনের বাৎসরিক বেতন এক লাখ ১২ হাজার ডলার। কিন্তু দুই বছর আগে মার্কিন ট্রেজারি দপ্তরের কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, ভøাদিমির পুতিন একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি, যিনি তার সম্পদ অনেক বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছেন।
২০০৭ সালের একটি সিআইএ নথিতে জানা যায়, তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার।
এই নির্বাচনের ফলাফল দেখেই ধারণা করা যায়, তিনি পুরো দমে জীবিত।
২০১৫ সালে তাকে ১০ দিন ধরে জনসম্মুখে দেখা না যাওয়ায় এই গুজবটিই সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছিল। মানুষ আরও প্রশ্ন তোলেন, তাকে কি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে দেয়া হয়েছে? তিনি কি মারা গেছেন? তিনি কি আবার বাবা হয়েছেন?
তবে কিছুদিন পরে প্রকাশ্যে এসে তিনি মন্তব্য করেন, গপিস ছাড়া জীবনটা বোরিং। সবার মতো ভøাদিমির পুতিনও একজন মানুষ। যা কিছু তাকে খুশি করে, আনন্দ দেয়, তাতে তিনি অন্য সবার মতোই হাসেন।
পুতিন কি ইউক্রেনে হামলা চালাবেন!
তিনি এর মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া খানিকটা শুরু করেছেন, যেমন ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সৈন্যরা পূর্ব ইউক্রেনে প্রবেশ করেনি। তবে রাশিয়া স্বীকার করেছে যে, তাদের দেশের স্বেচ্ছাসেবীরা বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে। সূত্র : আরটিএনএন