হিজবুত তাহরিরের জাকারিয়াসহ ১০ শূরা সদস্যকে খুঁজছে গোয়েন্দারা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরিরের সদস্যরা আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সংগঠনটির সমন্বয়ক মাওলানা মুহিউদ্দিন ২০১০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর ঝিমিয়ে পড়ে সংগঠনের কার্যক্রম। বর্তমানে জাকারিয়া নামে একজন বর্তমানের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি হিজবুতের তিনজনকে গ্রেফতারের পর র্যাবের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এ তথ্য।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মাহমুদুল হাসান রবিন জানান, ২০০৯ সালে নটরডেম কলেজে পড়ার সময় তার আগের ব্যাচের ছাত্র জাকারিয়ার সান্নিধ্যে আসে এবং ধীরে ধীরে জাকারিয়ার হাত ধরে ধর্মীয় উগ্রপন্থার সাথে পরিচিত হতে থাকে। শুধু তাই নয় একপর্যায়ে মাহমুদুল হাসান রবিন নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরিরের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করে। সংগঠনের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য নিজ এলাকায় চলে যায় এবং বর্তমান সমন্বয়ক জাকারিয়ার নির্দেশে ঢাকায় এসে সাংগঠনিক কাজে অংশগ্রহণ করত। গত ৮ সেপ্টেম্বর সংগঠনের পরিকল্পনা ও জাকারিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের বায়তুস সালাম জামে মসজিদের সামনে লিফলেট বিতরণের সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। গত ১৩ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ থানার বছিলার একটি বাসা থেকে হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্যকে গেফতার করে র্যাব। এরা হচ্ছে মো. রিয়াদ হোসেন (২৪), মো. জিহাদুল ইসলাম (১৯) ও শরীফ হোসেন (২৩) তাদের কাছ থেকে একটি জিহাদী বই, ৪০টি লিফলেট, একটি ল্যাপটপ ও চারটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এরাও সমন্বয়কারী হিসেবে জাকারিয়ার নাম বলেছে।
সূত্র জানায়, জাকারিয়ার নেতৃত্বে সংগঠনের ১০ শূরা সদস্য গোপনে সক্রিয় রয়েছে। এরা হিজবুত তাহরিরকে পুর্নগঠিত করার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক মওলানা মহিউদ্দিন ২০০১ সালে হিজবুত তাহরির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। নাশকতামূলক তৎপরতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-ে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৪ অক্টোবর সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সংগঠনটি। পরে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল প্রধান মাওলানা মহিউদ্দিনকে ৫ সহযোগীসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা হচ্ছে সাইদুর রহমান ওরফে রাজীব, কাজী মোরশেদুল হক ওরফে প্লাবন, এম এ ইউসুফ, তানভীর আহমেদ ও তৌহিদুল আলম চঞ্চল। এরমধ্যে তৌহিদুল আলম জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।