বিমসটেক উন্নয়নের বিকল্প ফোরাম হতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম : বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে যেতে থাকায় এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নের জন্য বিমসটেক বিকল্প ফোরাম হতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
গতকাল গুলশানে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল আ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সেমিনারে একথা বলেন পরররাষ্ট্র মন্ত্রী।
মাহমুদ আলী বলেন, বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ লাগাতারভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অব্যবহৃত সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে বঙ্গোপসাগর উপকূলের সাত দেশের এই জোটকে ‘ফলমুখী সংগঠন’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। সদস্য রাষ্ট্র ভুটান, নেপাল ও মিয়ামনারকে নিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের যোগ দিচ্ছে, যা আমাদের জন্য অসীম গৌরবের। উন্নয়ন ও প্রগতির যে গতি সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে আমাদেরকে বাণিজ্য এবং অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এলডিসি ক্লাবের বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। এলডিসি সদস্য হিসেবে আমরা যেসব অর্থনৈতিক সুফল পেতাম বিমসটেক প্রক্রিয়ার অধীনে দ্রুত অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার মাধ্যমে আমরা সেগুলো পেতে পারি। বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য মাত্র ৭ শতাংশ। এটি ২১ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব।
বিমসটেক মহাসচিব এম. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিমসটেক দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সেতু হিসেবে যোগাযোগের অতুলনীয় ভূমিকা রাখছে। বিমসটেক যাত্রা শুরুর পর তৃতীয় দশকে উপনীত হচ্ছে। বিমসটেকের সব অর্জন একত্রিত করে ভবিষ্যতের গতিপথ ঠিক করার এটাই উত্তম সময়।
১৯৯৭ সালে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) গঠিত হয়। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই উদ্যোগ শুরু করে। পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান এতে যোগ দেয়। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন