ন্যায়পাল নিয়োগ সময়ের দাবী
জাহিদ আহমেদ হিরো
আমাদের এই উন্নয়নশীল দেশে দুর্নীতি যে কোন উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। দুর্নীতির কারণে অথবা কতিপয় সরকারী কর্মচারীর দুর্নীতি দৌরাতেœ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বাংলাদেশ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজের চাপ আরো বেশি লাঘব হতো, যদি এদেশে ন্যায়পাল নিয়োগ করা হতো। ন্যায়পাল নিয়োগ আমাদের সংবিধানের একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও বটে। সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালের পদ প্রতিষ্ঠার জন্য বিধান করিতে পারিবেন। আরো বলা হয়েছে, সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালকে কোন মন্ত্রণালয়, সরকারী কর্মচারী বা সংবিধিবন্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের যে কোন কার্য সম্পর্কে তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতাসহ যে রকম ক্ষমতা কিংবা যেই দায়িত্ব প্রদান করিবেন, ন্যায়পাল সেই মতে ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন। সর্বশেষ বলা হয়েছে ন্যায়পাল তার দায়িত্ব পালন সম্পর্কে বাৎসরিক রিপোর্ট প্রণয়ন করিবেন এবং সেই রিপোর্ট মহান সংসদে উপস্থাপিত হইবে। সুতরাং যেখানে ন্যায়পাল নিয়োগের কথা আমাদের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, সেখানে ন্যায়পাল নিয়োগ করে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পালন করা একান্ত আবশ্যক এবং যাহা দুর্নীতি প্রতিরোধে একটি কার্যকর মাইলফলক ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করবে বলে দৃঢ় ভাবে প্রতীয়মান হয়।
পরিচিতি : এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ