আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান
এল আর বাদল : ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর দ্বিতীয় ও শেষ দল হিসাবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। গতকাল আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে এ যোগ্যতা অর্জন করে তারা। এর আগে ২০১৫ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে প্রথবারের মতো অংশ নিয়েছিল আফগানিস্তান।
গতকাল ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে ওঠার স্বপ্নপূরণ করে আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৯ রান করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় আফাগানরা।
জিম্বাবুয়েতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইয়ে ১০ দলের আসর থেকে মাত্র দুটি দল পাবে ইংল্যান্ডের মূল পর্বের টিকিট। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থেকে আটটি দল চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করে রেখেছিল আগেই। বাছাই পর্বে ৪ টি দল ছিল টেস্ট মর্যাদা পাওয়া। যেখানে আবার ছিল দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দল। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও অনেক শঙ্কা জয় করে তবেই মূল পর্ব নিশ্চিত করতে হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে। আয়োজকরা পরাজিত হওয়ায় আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান দুই দলেরই সম্ভাবনা ছিল এ ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানই পৌছে গেল বিশ্বকাপের মূল আসরে।
হারারো স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে আয়ারল্যান্ডের দেয়া ২১০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মোহাম্মদ শাহজাদ। ৪৫ রান করেন গুলবদিন নাইব। ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক আসঘার স্টানিকজাই। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সিমি সিং ৩টি, ব্যারি ম্যাকার্থি ১টি ও বয়েড র্যানকিন ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন পল স্টার্লিং। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন কেভিন ও’ব্রাইন। ৩৬ রান করেন নিয়াল ও’ব্রাইন। আফগানিস্তানের পক্ষে রশীদ খান ৩টি, দৌলৎ জাদরান ২টি ও মোহাম্মদ নবী ১টি করে উইকেট নেন।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি বিশ্বকাপের ১২তম আসর।