নিরাপত্তার অভাবে কাফনের কাপড় নিয়ে ঘুরছেন ব্যবসায়ী রফিক
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর প্রতারণা হয়রানী ও টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম। শনিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে কাজী ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ লি: ভেলিসিমু আইসক্রিম ও জাই এনজি আইসক্রিম ময়মনসিংহের সাতটি থানার ডিলার নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এরপর থেকে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসার উন্নতি দেখে ইর্র্ষান্বিত হয়ে কোম্পানীর কতিপয় লোকজন তার পেছনে উঠে পড়ে লাগে। ব্যবসায়ীক কাজে গাড়ি প্রয়োজন হওয়ায় কোম্পানীর জিএম (সেলস) মিজানুর রহমান গাড়ি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেয়। কিš‘ গাড়ি না দিয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। অনেক চাপ সৃষ্টির একপর্যায়ে ভাড়া হিসেবে গাড়ি বুঝিয়ে দেয়। পরে ২০১৬ সালে কোন হিসাব নিকাশ ছাড়াই কোম্পানী থেকে রফিকুলের ডিলারশীপ বাতিল করে দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় এমপিকেও জানানো হয়। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। পরে এ বিষয়ে থানায় জিডি (৫৩৩) করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানীর জিএম মিজান ও সিও তানভীর আহম্মেদ তাকে মোবাইলে হুমকি দিলে তাদের একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রফিক। ওই নোটিশে আমি কোম্পানীর কাছে ২০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা পাই উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও কিছু টাকা ও ৮টি ফ্রিজ গচ্ছিত রয়েছে। পরে ময়মনসিংহ থানায় মামলা করা হলে কোম্পানীর আরএসএম এমরানকে ৩টি ফ্রিজসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলা এখন বিচারাধীন। এরপরও তাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে কোম্পানীর লোকজন। পরে কোতয়ালী থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি জিডি এন্ট্রি করেন তিনি। কোম্পানীর এমডি চারজন লোক পাঠিয়ে তার কাছ থেকে সকল প্রমানাদি লিখিভাবে নিয়ে যায়। বর্তমানে তার আইসক্রিম ব্যবসাটি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
রফিক জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩ টা ৩৭ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ পান। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি শুনে তাকে আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া ধর্মমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাতুল হাসান, পৌর মেয়র ইকরামূল হক টিটু, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের নিয়ে দেন দরবার করেও সুবিচার পাননি। বর্তমানে রফিক কাফনের কাপড় নিয়ে ঘুরছেন। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কাছে এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেছেন রফিকুল ইসলাম।