আগামী বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা
জাফর আহমদ : আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এ অর্থ চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রাথমিক ভাবে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটিতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হবে। তার আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গেও এ বিষয়ে আদালাভাবে আলোচনা বসবে অর্থ বিভাগ। অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, আগামী বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। বাকি অর্থ আদায় করা হবে এনবিআর বহির্ভূত খাত থেকে। এদিকে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। ফলে আগামী অর্থবছরের সরকারে অভ্যন্তরীণ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে ৫২ হাজার ১০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। ফলে বাজেটের আকার বাড়ার সঙ্গে তাল রেখে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। উল্লেখ্য, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এনবিআর আয়কর, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি-রফতানি শুল্ক মিলে মোট এক লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। গত করবর্ষের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৯৫ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। তবে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হতে পারে বলে ধারণাা করছেন অর্থনীতিবিদরা। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ থেকে ১২ শতাংশ কম হবে। শতভাগ রাজস্ব আহরণ না হওয়ায় বিভিন্ন কারণ থাকে। তবে রাজস্ব আদায় গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি হ?ে? সম্পাদনা : আনিস রহমান