প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ
হাসিব বিল্লাহ : জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেরটেলসমান স্টিফটুং-এর গবেষণা প্রতিবেদন সঠিক নয় এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। ১২৯টি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ নতুন করে ৫টি দেশ একনায়কতান্ত্রিক দেশের তালিকায় ঢুকেছে।
টিভিএনএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই গবেষণা মোটেও সঠিক নয়। বাংলাদেশে এত মিডিয়া থাকার পরেও সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই এ গবেষেণার কোনো ভিত্তি নেই। এছাড়া সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ২০১৪ সালে নির্বাচন করতে হয়েছে। এই নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি অনেক নাশকতা চালিয়েছে। গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে হত্যা করেছে, তিন মাস একটানা হরতাল দিয়েছে। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসেনি। তারা বিরোধী দলে নেই, সংসদে নেই, সেই বিবেচনায় গণতন্ত্র ব্যাহত হয়েছে বলে মনে করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান পুরোপুরি না জেনে না বুঝে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাচ্ছেÑ ঠিক এমন সময় অনেক উন্নয়নশীল দেশ যারা আমাদের বিরোধী তারা এ কাজে উস্কানি দিয়ে থাকতে পারে। সম্পূর্ণ ভুলভাবে এ গবেষণা উপস্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেরটেলসমান স্টিফটুং তাদের ওয়েবসাইটে ‘ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স বিটিআই’ অনুযায়ী ১২৯টি দেশের মধ্যে ৫৮টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৫। অন্যদিকে, এ বছর গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা ৭১। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৭৪। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চেšধুরী