১১ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আজ বৈঠক গ্রেনেড হামলার নায়ক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দিতে আইনমন্ত্রীর অনুরোধ
হুমায়ুন কবির খোকন : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনতিবিলম্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকরীদের নায়ক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান এবং যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্ত মঈনুদ্দিনকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি গতকাল শনিবার ঢাকায় বনানী মাঠে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিএনপি ও জামায়াতের হামলা, ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির অবমাননা এবং হামলার নির্দেশ দাতা হিসেবে তারেক জিয়া গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বাংলাদেশস্থ যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদান আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এদিকে আজ দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা,যুক্তরাজ্য,জার্মান, ডেনমার্ক,সুইডেনসহ ১১ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করবেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন,আমাদের দেশের আদালত যে রায় দিয়েছে সে রায় কার্যকর করা আমাদের দায়িত্ব। আপনারা তাদেরকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন আমরা তাদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করতে চাই। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় প্রতীক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সারাবিশ্বে দেশটির অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ দেখতে চায়, যে সব দুষ্কৃতকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীগণের উপর হামলা, দূতাবাস ভাঙচুর এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির অবমাননা করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে বিষয়টির সুরাহা করা হোক। যুক্তরাজ্য সরকার শাস্তি দিতে না পারলে তাদেরকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হোক। বাংলাদেশ সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে তাদের সাজার ব্যবস্থা করবে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা এবং জাতির পিতার ছবির অবমাননা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর হামলা। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী একটি দেশের দূতাবাস রক্ষার দায়িত্ব সে দেশের সরকারের । কিন্তু যুক্তরাজ্যে এ হামলার মদতদাতাদের গ্রেফতার এবং গ্রেফতার পরবর্তী শাস্তি কার্যকর করা হয় নাই।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে দেশের বিশিষ্ট শিল্পী কলাকৌশলী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযাদ্ধা, ছাত্রসহ আপামর জনগণ অংশ গ্রহণ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বাংলাদেশস্থ যুক্তরাজ্য হাইকমিশনে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।