‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করা হচ্ছে’
ফয়সাল মেহেদী : বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়নি, বাস্তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ধ্বংস করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক উন্মুুক্ত আলোচনা তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দুঃখ জনক ভাবে ঘটনার দায়-দায়িত্ব নেবার কেউ নেই। যে সরকার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে পারেন না সেই সরকারের নৈতিকতা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে জনগণকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি অধ্যাপক হুমায়ুন করিব হিরু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান বঙ্গদীপ এম এ ভাসানী, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণমোর্চার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মাসুম, অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবির চৌধুরী তন্ময়, সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বলা হয়- শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। আবার কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে হলে তার শিক্ষা ব্যবস্থাতে প্রথম আঘাত হানতে হয়। যেমনি ভাবে বিজয়ের ঠিক দুইদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাক হানাদার বাহিনী এদেশের সূর্যসন্তান বলে খ্যাত মেধাবী শিক্ষিত ব্যক্তিদের হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, দেশ যখন অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছে, ঠিক সেই সময়েই শিক্ষার উপর আঘাত হানছে একশ্রেণীর চক্রান্তকারী। চলতি বছরের এস.এস.সি পরীক্ষায় অধিকাংশ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি।
মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ২ এপ্রিল এইচ.এস.সি পরীক্ষা শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে ৯টি সুপরিশ করলেও জনমনে শঙ্কা রয়েই গেছে। প্রশ্ন ফাঁসকারীরা জাতীয় শত্রু। এদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। সময় এসেছে, যার যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করার এবং সচেতন হবার। প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের সায় না দিতে এবং জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর হয়ে অসৎ কাজে জড়িয়ে মহৎ পেশার অমর্যাদা না করতে শিক্ষকদেরপ্রতি আহ্বান জানান তিনি।