তাহিরপুরের তিন শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু
নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ) : তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া-চারাগাঁও ও বাগলী শুল্কস্টেশন দিয়ে আবারও দুই মাসের জন্য কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দুই মাসের জন্য সময় দিয়েছে।
জানা যায়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ কয়লা শুল্কস্টেশন তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী দিয়ে ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে কয়লা আমদানি শুরু হলেও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণে বন্দরগুলোর আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ঢিমেতালে চলছিল। গত বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে কয়লা জমতে থাকে বন্দরগুলোতে। প্রায় ৬ মাস চালু থাকার পর গত বছরের ৩১ মে থেকে স্টেশনগুলো আবারও বন্ধ হয়ে যায়। গত ২১ নভেম্বর থেকে কয়লা ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে কয়লা আমদানি করার সুযোগ পান। চার মাসের জন্য চালু হওয়ার পর ফের গত ২১ মার্চ থেকে ওই তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে পড়েছিল। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো কয়লা রফতানি নিয়ে ভারতের ন্যাশনাল গ্রীণ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সচিব রাজেশ তালুকদার জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন তাদের মওজুদকৃত ২ লাখ মে. টন কয়লা রফতানি করতে আদালতে আবেদন করছিল। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মওজুদকৃত কয়লা রফতানি জন্য দুই মাসের সময় দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে কয়লা আমদানী শুরু হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত মে মাসের শেষে দিকে আবারও কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েন প্রায় ৫শ কয়লা আমনদারিকারক। এছাড়াও কর্মহীন হয়ে পড়েন আমদানিকারদের প্রায় ৬ হাজার কর্মচারি ও প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক। এছাড়াও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৩টি বন্দরের অর্ধলক্ষ মানুষ। কিছুদিনের জন্য কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছিল। কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছিল। স্থবির হয়ে পড়েছিল তিনটি শুল্কস্টেশন।