নেপাল ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষে চীন
সাউথএশিয়ান মনিটর : নেপাল ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সমর্থন করে চীন। চীন নেপালকে পুরোপুরি কব্জায় নিতে চায় বলে যে আশংকা রয়েছে তা বাতিল করে দিয়ে বেইজিং এ মন্তব্য করে। নেপাল একটি স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করবে বলে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে চীন বলে যে, নয়া দিল্লি, কাঠমান্ডু ও বেইজিং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং তারা অভিন্ন উন্নয়নের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। বেইজিংয়ে নিয়মিত ব্রিফিংকালে চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র লু কাং এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রতি নেপাল সরকারের অঙ্গীকারকে আমরা প্রশংসা করি। প্রতিবেশিদের সঙ্গে নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক সম্পর্ককেও সমর্থন করি আমরা। এই অঞ্চলের অভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে তিন দেশ এক সঙ্গে কাজ করতে পারে বলে আশা করেন মুখপাত্র । দায়িত্ব গ্রহণের পর গত মঙ্গলবার বিদেশী কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে প্রথম ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী অলি বলেন যে তার দেশ একটি স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি এবং সম্পর্কে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান ধরে রাখতে চায়। এটাই হবে নেপালের পররাষ্ট্রনীতির মূল বৈশিষ্ট্য। অলি বলেন, যে দেশ কখনো বিদেশী শক্তির নিয়ন্ত্রণে ছিলো না তেমন একটি দেশের অধিকারী হিসেবে যে কারো চেয়ে সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও হস্তক্ষেপ না করার নীতিগুলো আমাদের হৃদয়ের অনেক কাছাকাছি। অলি উল্লেখ করেন যে পররাষ্ট্রনীতিতে নেপাল সবার সঙ্গে মিত্রতা চায়, কারো সঙ্গে শত্রুতা চায় না।
নেপালের বর্তমান সরকারকে বেইজিংপন্থী বলে মনে করা হয়, যা নয়া দিল্লিতে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
বেইজিংয়ের মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগ দিয়েছে নেপাল। ভারত এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে। এই প্রকল্পের একটি রুট বিতর্কিত কাশ্মিরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে বলে ভারতের অভিযোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে চীনের সাহায্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়েও অস্বস্তিতে আছে ভারত। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ