‘গাসিক নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়া হবে’
মিলটন খন্দকার, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা ও আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন প্রার্থীর বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ শুরু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. রকিব উদ্দিন মন্ডল ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ অপসারণের কাজ ৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
এ সময় রিটার্নিং অফিসার মো. রকিব উদ্দিন মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না হওয়া পর্যন্ত কেউ কোন পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, বিলবোর্ড কোথাও লাগাতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন ও আমরা অত্যন্ত শক্ত। যারা আচরণবিধি অথবা নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনে ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সচেতন। যাতে কেউ আইন লংঘন না করে সে জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সবার সমন্বয়ে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয় সে ব্যাপারে আমরা সবাই সচেতন। রিটার্নিং অফিসার বলেন, আমরা একত্রে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছি। নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী। এখানে লেভেল প্লেইং ফিল্ড যাতে সুষ্ঠু থাকে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সচেতন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ১৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তিনি জানান, একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য এবং অবাধ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আচরণবিধি একটি অন্যতম লক্ষ্য ও মাধ্যম। আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বুঝয় তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।।
উচ্ছেদ অভিযানকালে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. তারিফুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ১৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ।