আরসাকে সহযোগিতা না করতে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সতর্ক করলো চীন
ইমরুল শাহেদ : মিয়ানমারের শান রাজ্যে চীন সীমান্তের কাছে সাতটি সশস্ত্র জাতিগত গ্রুপের সম্মিলিত সংগঠন নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের যে সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে চীন বলেছে, তারা যেন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশান আর্মিকে (আরসা) কোনো ধরনের সহযোগিতা না করে। অ্যালায়েন্সটি ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশান অ্যান্ড কনসাল্টেটিভ কমিটি (এফপিএলসিসি) নামেও পরিচিত। গত ২৬-২৮ মার্চ পাংসাংয়ে তিন দিনের এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপের একজন নেতা। তিনি বলেন, ‘চীনের জিনজিয়াংয়ের উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের উইঘুর মুসলিম সন্ত্রাসীরা আরসার সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। তাই চীন নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাবধান করে দিয়েছে, যাতে তারা আরসাকে কোনো সহযোগিতা না করে।’
গত বছরের আগস্টে রাখাইন রাজ্যের মংডুতে পুলিশ ঘাঁটি ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর (তাতমাদাও) পোস্ট লক্ষ্য করে হামলা চালায় আরসা। জবাবে ব্যাপক পাল্টা অভিযান চালায় তাতমাদাও এবং লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। মিয়ানমার সেনা ও সরকার আরসাকে জঙ্গি সংগঠন মনে করে।
জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির উৎস আরাকান হলেও চীনা সীমান্তবর্তী লাইজা এবং কোকাং এলাকায় তাদের ঘাঁটি রয়েছে। সাধারণত মিয়ানমার সেনাদের সঙ্গে সংঘাতের সময় তারা আরাকানে আসে এবং এরপর আবার তারা নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যায়।
জাতিগত আরাকান এবং রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী একে অন্যকে সমর্থন করে না। বাস্তবে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের জাতিগত দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরপরও আরাকান আর্মির সঙ্গে আরসার যোগাযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন। কিছু জাতিগত সশস্ত্র নেতাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হং লিয়াং ২৯ মার্চ সেনা কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়ের সঙ্গে নেপিডোতে বৈঠক করেছেন। পাংসাং বৈঠকের একদিন পর এ বৈঠক হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বৈঠকে দুজন শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন এবং রাখাইনের মংডু এ বুথিডং থেকে যে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সাউথএশিয়ান মনিটর