তাকে পারিবারিকভাবে খুন করা হয়েছে
অপু উকিল
রংপুরের আইনজীবি হত্যার যতটুকু প্রমাণ এসেছে, বুঝা যায় তাকে পারিবারিক ভাবে খুন করা হয়েছে। তার স্ত্রীর পরকিয়া ছিল, যে কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন আমাদের সমাজে মা তার নিজ সন্তানকে হত্যা করছে, স্ত্রী তার স্বামীকে খুন করছে। এ ভাবে খুনের পরিমানটা বেড়েই চলেছে শুধুমাত্র পরকিয়ার কারণে। পরকিয়ার কারণে খুনের পরিমানটা বেড়েছে। সামাজিকভাবে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আমরা খবর এ খবর খুব কম পেতাম। এখন ডিজিটাল যুগ, সে কারণে খুব সহজে আমরা শুনতে পাই। আমাদের সমাজকে সচেতন হতে হবে। কেন এই ঘটনাগুলো সমাজে ঘটছে? তার তথ্য বের করতে হবে। এ ঘটনা গুলো যেন না ঘটে তার জন্য কার্যপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। যারা খারাপ কাজের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদেরকে নৈতিকভাবে শক্তিশালী জায়গায় আনতে হবে। রংপুরের যে আইনজীবি তিনি একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং দক্ষ আইনজীবি এবং যুদ্ধপরাধীদের সাক্ষী। সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে, তিনি জাপানী নাগরিকের হত্যা মামলা নিয়ে কাজ করছেন। এমন দক্ষ আইনজীবিকে এভাবে জীবন দিতে হবে, সেটি অনেক কষ্টদায়ক। তাকে মেরে ফেলা অনেক দঃখজনক ঘটনা। এমন ঘটনা যেন আমাদের সমাজে না ঘটে, সেভাবে আমাদের সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আগে আমাদের পরিবারকে ঠিক করতে হবে। তারপর আমাদের সমাজটাকে ঠিক করতে হবে। এধরণের জঘণ্য কাজ যেন না হয়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ/ মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ