নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখছে ‘টোলফ্রি হেল্পলাইন-১০৯’
মোরশেদ মুকুল : ২০১২ সালের জুন মাসে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘ন্যাশনাল হেল্পলাইন-১০৯’ নম্বরটি মহিলা ও শিশুদের জন্য ব্যাপক সহায়ক ভূমিকা রাখছে। ‘টোলফ্রি’ এই নম্বরে ফোন করে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের সহায়তা করার লক্ষ্যে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই হেল্পলাইন প্রতিষ্ঠা করা হয়। সুত্র বাসস
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই প্রকল্পের অনুকুলে ১০৯ নম্বরটি হেল্পলাইন হিসেবে প্রদান করেছে এবং সকল মোবাইল এবং অন্যান্য টেলিফোন হতে এই নম্বরে সপ্তাহে ৭ দিন দিনরাত ২৪ ঘন্টা ফোন করা যায়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের আওতায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন-১০৯ নম্বরে টেলিফোন সেবা কার্যক্রম শুরুর দিন ২০১২ সালের ১৯ জুন থেকে ২০১৮ সালের ২৮ ফেরুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৫টি কল করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩টি কল, আইনি সহায়তার জন্য ৩৩ হাজার ৪৬৮টি কল, পুলিশি সহায়তার জন্য ১২ হাজার ৬৮৯ টি কল, কাউন্সেলিংয়ের জন্য ৪ হাজার ২৬২টি কল, চিকিৎসা সেবার জন্য ১ হাজার ৭৩৫টি কল এবং অন্যান্য প্রয়োজনে ১৭ হাজার ৯৩২টি কল করা হয়েছে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ১০৯ নম্বরে যেসব বিষয় ও সমস্যা নিয়ে ফোন আসে, সেগুলো হলো- বাল্য বিবাহ, শারীরিক নির্যাতন, পাচার, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, মানসিক নির্যাতন, অগ্নিদগ্ধ, অপহরণ, হুমকি, প্রতারণা, পর্নোগ্রাফি, নিখোঁজ, টেলিফোনে হয়রানি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ।