জামালপুরে সরকারি হাসপাতালে সাপেকাটার ভ্যাকসিন নেই
শরিফুল ইসলাম ঝোকন: দীর্ঘদিন থেকে জামালপুরের কোনো সরকারি হাসপাতালে নেই পশু/সাপের কামড়ের ভ্যাকসিন। প্রতিটি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে টানানো হয়েছে ‘র্যাবিক্স ভ্যাকসিন নেই’ হাতে লেখা বিজ্ঞপ্তি। সাপেকাটা রোগীর ভ্যাকসিন নিতে হলে রোগীকে নিতে হবে ময়মনসিংহ। সাপেকাটা একজন রোগী ততক্ষণে বাঁচে কিনা সেটা ভাবারও অবকাশ নেই।
সরেজমিন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, এধরনের রোগী দিনে গড়ে ৫-১০ জন আসে। তারা হাসপাতালে এসে যখন শুনে ভ্যাকসিন বাইরে থেকে কিনতে হবে । আবার ভ্যাকসিন নিয়ে আসার পরে জানা যায় সিরিঞ্জ নেই। তখন আবার যেতে হয় তা আনতে। এভাবে ৪ বার ভোগান্তি ও খরচ করে চিকিৎসা নিতে হয়।
একটি অতি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে সাপ্লাই না থাকার বিষয়ে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. গৌতম রায় বলেন আমার জানামতে যেখান থেকে এই ভ্যাকসিন উৎপাদন হয় সেখান থেকেই সাপ্লাই হচ্ছে না। এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম জানান আমাদের চাহিদার তুলনায় ১০ ভাগ ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। তাও আবার লোক পাঠিয়ে অগ্রিম টাকা দিয়ে আনতে হয়।
সাপেকাটা রোগীর ভ্যাকসিন নেই এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সব হাসপাতালেই এই ভ্যাকসিন আছে তবে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আরো সমস্যা হলো বিষাক্ত সাপ কামড় না দিলে এই ভ্যাকসিন রোগীকে প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিশেষজ্ঞ ডা. ছাড়া এই টিকা দেয়ার ঝুঁকি কোনো ডাক্তার নিতে চায় না।
জামালপুর পৌরসভার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নিয়তি রানী নাহা বলেন, আমাদের পৌর সভায় আগে স্থানীয় সরকার থেকে একটি বরাদ্দ ছিল তখন আমরা এটা দিযেছি। এখন বরাদ্দ জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে স্থানান্তর হয়েছে।