সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চা ব্যাংকিং খাতে লুটপাট বন্ধ করতে হবে
রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে লুটপাট বন্ধ ও গ্রেফতারকৃত গার্মেন্ট শ্রমিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। বেসরকারি ব্যাংককে দেয়া টাকার লুটপাটের হিসাব না নিয়ে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাধ্যতামূলক নগদ জমার হার (সিআরআর) ১ শতাংশ কমানো এই খাতকে আরো দুর্বল করবে। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় পল্টন সিপিবি কার্যালয়ে সভায় সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা এই যৌথ সভায় বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে, বাংলাদেশ ব্যাংক-এর কার্যক্রম, তদারকি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা বাড়বে। সরকারি ব্যাংকগুলোকে ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।
সভায় নেতারা গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবির আন্দোলন নস্যাৎ করতে অন্যায়ভাবে গার্মেন্ট ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সাদেকুর রহমান শামীম, কে.এম মিন্টুসহ ৭জন নেতাকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানান।
সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার নেতারা বলেন, সাধারণ জনগণের টাকায় পরিচালিত এসব ব্যাংকে খেলাপী ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মূলধন সংকট চলছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ব্যাংক মালিকদের আবদার শোনা হচ্ছে। এমনকি এসব বিষয়ে লেখালেখি ও কথা বন্ধ করার কথাও বলা হচ্ছে। সভায় মালিকদের নয় জনস্বার্থে ব্যাংক পরিচালনা ও লুটপাট বন্ধের দাবি জানানো হয়।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাম মোর্চার সমন্বয়ক মোশরেফা মিশু, বাম মোর্চার নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, সাইফুল হক, মোশারেফ হোসেন নান্নু, ফিরোজ আহমেদ, হামিদুল হক, সিপিবি’র সাজ্জাদ জহির চন্দন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের জাহিদুল হক মিলু, বাম মোর্চার অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার ও মানস নন্দী প্রমুখ। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন