ডেমরা থানার ওসির প্রশ্ন মৌসুমী দাসকে নিয়ে এত আগ্রহ কেন?
মাছুম বিল্লাহ: ‘অন্য কোনো সাংবাদিকরা আসছে না, মৌসুমী দাসকে নিয়ে আপনাদের এতো আগ্রহ কেন?’ প্রেমের টানে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নাগরিক মৌসুমী দাসের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার এ প্রতিবেদককে এমন প্রশ্ন করলেন রাজধানীর ডেমরা থানার ওসি কাউসার আহমেদ।
এর আগে গত মার্চের শুরুর দিকে ভারতের আসাম থেকে ঢাকার ডেমরার যুবক নোমান বাদশার সঙ্গে তার নিজ বাড়িতে পালিয়ে আসে মৌসুমী দাস। এরপর গত ২৭ মার্চ তাকে একবার আটক করে অদৃশ্য কারণে ছেড়ে দেয় ডেমরা থানা পুলিশ। এ ঘটনার আটদিন পর মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি কাউসার বলেন, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের অনুরোধে আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেপ্তার করেনি।
কিন্তু বাংলাদেশের আইনে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। সেটি ফলো না করে কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং এখন কেনই বা গ্রেপ্তার করলেন?
উত্তরে ওসি কাউসার আহমেদ বলেন, ‘এতো দিন পরে বুঝতে পেরেছি তার কাছে পাসপোর্ট-ভিসা ছিল না। তাই এখন তার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার করেছি।’
উল্লেখ, বৈধ কোন কাগজপত্র ছাড়া মার্চ মাসের প্রথম দিকে আগরতলা বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল আসামের করিমগঞ্জ রবীন্দ্রসদন কলেজের ছাত্রী মৌসুমী দাস। এরপর ধর্মান্তরিত হয়ে ডেমরা থানা এলাকার আমলিয়া মেন্দিপুরের নোমান বাদশাকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। কয়েক মাস আগে আসামের করিমগঞ্জে একটি বাণিজ্য মেলায় জামদানি শাড়ির স্টলের কর্মী ছিলেন তিনি। সেখানে মৌসুমী দাসের সঙ্গে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গত ২৭ মার্চ ডেমরা থানায় ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সে সময় একটি ভিডিও ধারণ করা হয়, যা পরবর্তীতে ভারতের সামজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর আসামের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেতা ও বিধায়ক শিলাদিত্য দেব এ ঘটনাকে আসামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের কর্মরত বাংলাদেশি কোম্পানীর প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিলের দাবি জানান। এ ঘটনাটি নিয়ে আসামে রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। সম্পাদনা : আনিস রহমান