কুতুপালং-বালুখালিতে হাতি চলাচলের পথ তৈরি করবে আইইউসিএন
জাফর আহমদ : কক্সবাজারের কুতুপালং-বালুখালি এলাকায় রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করার পর হাতির বিচরণ পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে মানুষের মধ্য দিয়ে চলা ফেরা শুরু করেছে। আর এতে ১২ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ হতাহত রোধ ও হাতির বিচরণ নির্বিঘœ করতে হাতির চলাচলের পথ বানাবে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন)। এ কাজে সহায়তা করবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। শরনাথী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় এ সুত্র নিশ্চিত করেছে।
সুত্র জানায়, গত এক বছরে হাতির ৫টি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। হাতির বিচরণ ও চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে উখিয়ার কুতুপালং-বালুখালী নতুন ক্যাম্প এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। মানুষ হতাহতের কারণ অনুসন্ধান পরবর্তি প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসাবে এ কার্যক্রম শুরু করেছে আইইউসিএন।
মিয়ানমারে নির্যাতনে শিকার হয়ে পালিয়ে আসা নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ৯৬ হাজার। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলতি বছরেই বাংলাদেশে এসেছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭২৫ জন। নতুন করে আবাসন বানাতে এ সব মানুষের জন্য ৪ হাজার একর জমি দিতে হয়েছে। যার পুরোটাই প্রায় পাহাড় ও বনাঞ্চল। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের বিকল্প জ্বালানি প্রয়োজন মেটাতেও বন উজাড় হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০০ একর বেশি বনভূমি উজাড় হয়েছে। নতুন করে আরও বনভূমি উজাড় হচ্ছে। ফলে হাতিসহ বিভিন্ন রকম বন্য প্রাণীর বসবাস ও বিচরনে জায়গা সংরক্ষণসহ ইতোমধ্যে বসতি স্থাপন করা এলাকার পাশ দিয়ে বন্যপ্রাণীর চলাচল নির্বিঘœœ করতে এ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় হতে রক্ষার জন্য আগে নির্মিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউএনএইচসিসহ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় সাইক্লোন প্রস্তুতি কার্যক্রম (সিপিপি) এ কার্যক্রম করছে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার এর অধিক পরিবারকে অতিরিক্ত শেল্টার সামগ্রী সরবারহ করা হয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে বাকি পরিবারগুলোর মাসে শেল্টার সামগ্রী সরবারহ করা হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান