দক্ষিণ এশিয়ায় সংযোগ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে শিল্পাঞ্চলের উন্নয়ন করবে চীন
শোভন দত্ত : বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পদ্মাসেতু নির্মাণ করছে চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ালিং কোম্পানি, ছবি: শিনহুয়া
বাংলাদেশে ৭৫০ একর জায়গা নিয়ে একটা শিল্প পার্ক উন্নয়নের কাজ করছে চীন। মূলত চীনা উৎপাদনকারীরাই এই শিল্পাঞ্চলকে ব্যবহার করবে। চীনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়া ও আরও দূর-দূরান্তে সংযোগ স্থাপন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এটা করা হচ্ছে।
ঢাকায় চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সিলর লি গুয়ানজুন জানান, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এই যৌথ প্রকল্পের ৭০ শতাংশ শেয়ারের মালিক হবে। বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন অথরিটির (বিএসইজেডএ) সাথে মিলে এই শিল্প পার্কটি গড়ে তোলা হচ্ছে।লি রয়টার্সকে বলেন, “এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের কাছ চীন এ ধরেনের সুযোগ পেয়েছে যেখানে চীনা বিনিয়োগকারীরা প্রধানত উৎপাদন কারখানা গড়ে তুলবে।”
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের অধীনে এশিয়াসহ দূরবর্তী এলাকাগুলোর সাথে সংযোগ গড়ে তোলার অংশ হিসেবে শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানে বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সড়ক নির্মাণের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে চীন। শিল্প পার্কটি নির্মাণ করা হবে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। এটা পুরোপুরি চালু হতে পাঁচ বছর সময় লাগবে।
লি জানান, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ শিগগিরই ১০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। মূলত বিদ্যুৎ, সড়ক ও অবকাঠামো প্রকল্পে এই বিনিয়োগগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে চীনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ আসে নমনীয় ঋণের মাধ্যমে। এই সব ঋণের সুদের হার ২ শতাংশ এবং ২০ বছর মেয়াদে এগুলো পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
শ্রীলংকায় ঋণের কঠিন শর্তের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে চীন। সমালোচকরা বলেছে, চীন দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে ঋণের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে এবং সেখান মুক্তির জন্য শ্রীলংকাকে হামবানতোতা বন্দরের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা চীনের হাতে তুলে দিতে হয়েছে। লি বলেন, বাংলাদেশের এই প্রকল্পটি যথাসময়ে শেষ করার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে।