কোটা সংস্কার হোক অন্যথায় বিকল্প ব্যবস্থা
আবদুল্লাহিল কাফি রকিব
আমি একবাক্যে বলব, কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাই। আমাদের দেশে বর্তমানে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে গেছে। এই সমস্যা সমস্যার সমাধান করতে হলে প্রতিটি বেকারের চাকুরী নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে বেকারত্ব দূর করতে চাকুরীতে নিয়োগ বাড়ানো খুবই প্রয়োজন, অথচ সেখানে কোটা সুবিধা দিয়ে মেধাবীদের বড় একটি অংশকে চাকুরী থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নিয়োগের একটি সিটের জন্য পরীক্ষা দিচ্ছে কয়েক হাজার। এমনিতেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের এক প্রকার যুদ্ধ করতে হচ্ছে অথচ সেখানে ৫৬ শতাংশ কোটা দখল করে আছে মেধাবীদের স্থান। এভাবে যদি চলতে থাকে আমরা আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে আছি।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
মেধাবীদের জন্য চাকুরী নেই অথচ অযোগ্য ব্যক্তি কোটার বলে চেয়ার দখল করে বসে আছে।
আমি কোটার বিরুদ্ধে নয়, তবে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি চাই কোটা সংস্কার হোক। ঘন্টার পর ঘন্টা পড়াশুনা করেও টিকে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে, অথচ কোটা ভিত্তিক নিয়োগে সিট খালি থাকছে। যদি সরকার আমাদের মত লাখো যুবক কে সুন্দর একটি ভবিষ্যত নিশ্চিত করে দিতে না পারে, তবে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করুক। বেসরকারী চাকুরি গুলোতে সরকারী ভাবে নিয়োগ প্রদান করা হোক। সরকারী চাকুরীতে যে সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, বেসরকারী চাকুরি গুলোতেও তার যেন কোন প্রকার ব্যতিক্রম না হয়, সেই বাধ্যবাধকতা করা হোক। সরকারী চাকুরী আর বেসরকারী চাকুরীতে কোন বৈষম্য থাকবে না, যোগ্যতা অনুসারে সকল পদের সুবিধা সমান হবে, এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। তবে হয়ত চাকুরির নিয়োগ পরীক্ষা গুলোতে চাপ একটু কমতেও পারে।