কোটা পদ্ধতির জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে
আমাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে মামলার কোন সম্পর্ক নাই। এটা গণদাবী, ছাত্রদের দাবী, যারা বেকার আছে, শিক্ষা জীবন শেষ করেও চাকরী পাচ্ছে না, তাদের দাবি। এটা যৌক্তিক আন্দোলন বলে আমি মনে করি। তবে এটার সাথে মামলার কোন সম্পর্ক নাই। এদেশের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ চায়, কোটা পদ্ধতি না থাকুক। কারণ, মেধা যেভাবে শূন্য হয়ে যাচ্ছে, প্রশাসন ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে আসলে মেধাশূন্য হয়ে পড়ছি আমরা। মাঝে মাঝে যখন দেখি পুলিশ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের বাধা দিচ্ছে, তখন আমার খুব কষ্ট লাগে যে, ওরা তো নিজের স¦ার্থে আন্দোলন করছে না। সামগ্রিকভাবে ওরা গোটা জাতির জন্য আন্দোলন করছে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এই সোনার বাংলায় কোন বৈষম্য থাকবে না। আমাদের দেশের বিশিষ্ট গুরুজনরাও বলেছেন, এতগুলো কোটা লাগে না আসলে। বা কোটা রাখা উচিত নয়। আমরা প্রথমে বাতিল চাইনি কোটা, সংস্কার চাই সংস্কার হোক। আমরা কোটা সংস্কারের ব্যাপারে একটা কমিটি করার আহ্বান জানিয়েছি। কমিটি একটা জরিপ করবে যে, দেশের মানুষ মূলত কি চায়? তারপর মহামান্য আদালত যে সিদ্ধান্ত নিবেন, আমরা সেটাই মেনে নিব। সুতরাং এটা এমন কঠিন কিছু না যে, করা যাবে না। পুলিশ মামলা করেছে ৭০০ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। আবার তারা ছেড়েও দিয়েছে। আমার মনে হয়, তারা যে টিয়ার শেল রাবার বুলেট অপচয় করেছে, সেজন্য সেই অপচয়ের হিসাব সরকারকে দিতে তারা এই মামলা করেছিলেন।
সংবিধানের ১০২ ধারায় উল্লেখ আছে যে, কোন লোক জনস্বার্থে মামলা করতে পারে। এটা ১০২ তে অসীম ক্ষমতা দেওয়া আছে। অনেকে চাকরী পায়না বলেই তো বাধ্য হয়ে কেউ আইনজীবি হচ্ছেন কেউ সাংবাদিক হচ্ছেন।
মামলার বাদী একজন আছেন দিদারুল আলম, তিনি এ্যাডভোকেট হয়েছেন। মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ছিলেন একজন প্রার্থী, তিনিও ২৪তম বিবিএসে কোটার কারণে চাকরী পাননি বলে আজ সাংবাদিক হয়েছেন। অথচ তাদের ইচ্ছা ছিলো দেশের জন্য তারা কিছু করবেন। তারা সেই সুযোগটা পাননি শুধু এই কোটা পদ্ধতির জন্য। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, আমাদের আন্দোলন যৌক্তিক।
পরিচিতি: যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ /মতামত গ্রহণ: মো. এনামুল হক এনা /সম্পদনা: মাহবুবুল ইসলাম॥