মাদক নিয়ে দুশিন্তায় সরকার ও দল, প্রশাসন নিরব কেন?
রবিউল আলম
মাদক নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। কেন মাদক নিয়ে যুবসমাজ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে? মাদক কি করে আমাদের দেশে আসে, কিভাবে বিক্রয় হয়, মাদক কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ? হাজারো প্রশ্ন জনতার। আমাদের পুলিশ, আমাদের প্রশাসন বারবার প্রমান করেছে, চাইলে একটি অবৈধ সুই বাংলাদেশের মাটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। এত বড় বড় জঙ্গি আজ মাথা নত করেছে। বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের মত আন্তর্জাতিক জঙ্গিরা মাটির সাথে মিশে গেছে। পাকিস্তানের দোসর জামায়াত ১০ ট্রাক অস্ত্র এনেও বাংলাদেশে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের আগুন বাংলাদেশকে জ্বালাতে পারে নাই প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকায় ও দক্ষতায়। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় পুলিশ চাইলে মাটির নীচ থেকে মরা লাশ বের করে আনতে পারে আর সামান্য মাদক প্রকাশ্যে বিক্রয় হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার সতর্ক করেছেন, সকলের সন্তানের খোঁজ খবর রাখতে বলেছেন এবং মাদক থেকে দুরে রাখতে বলেছেন। দেশের উন্নয়ন তখনই উন্নত ও সফল হবে, আমাদের চেষ্টা সফল হবে যখন দেশের মানুষ, আমার আপনার সন্তান মাদকমুক্ত ও হতাশামুক্ত হবে। বাংলাদেশের অনেক সফলতা ও অর্জন পৃথিবীর নিকট থেকে সম্মান এনে দিয়েছে। মাদকের জন্য এত সফলতা ব্যর্থ ও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। মাদক নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার ও দল, প্রশাসন নিরব থাকতে পারাজার, ধানমন্ডি থানায় অভিযান চলতে থাকলে মাদক ব্যবসায়ীরা রায়ের বাজারে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করে। মোহাম্মদপুর থানায় অভিযান শুরু হলে মাদক ব্যবসা টিলাবাড়ী মুক্তি সিনেমা হল, রায়ের বাজার হাই স্কুল এলাকায় চলে যায়। হাজারীবাগ থানায় মাদক বিরোধী অভিযান শুরু করলে আবার সবাই রায়ের বাজারে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এইভাবে লুকোচুরি করে কি আর মাদক নির্মূল করা যাবে ? এলাকার কাউন্সিলর আবু তাহের খান কিডনী ও হার্টে ব্লক নিয়ে চিকিৎসাধীন। মহিলা কাউন্সিলরদের সময় হয় না মেয়রের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়ায়। এমপি সাহেব দল নিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। মাদকে সয়লাব সকল নির্বাচনি এলাকা। বিগত ২৮শে মার্চ আমি নিজে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দিলাম এক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক বিক্রি করা অবস্থায়, দারোগা ছিল হাজারীবাগ থানার, (নাম প্রকাশ করছি না)।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
অনেক বিনয়ের সহিত আমাকে বললেন, নেতা ওটা মোহাম্মদপুর থানাকে অবহিত করুন, এটা আমার থানার অন্তর্গত নয়।
এই ফাঁকে আমাকে দেখে ঐ মাদক ব্যবসায়ী চোখের পলকে আত্মগোপন করলো, কিছুই করা গেল না। মনে মনে ভাবলাম এভাবে মাদকমুক্ত অথবা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। শুনেছি র্যাব মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। র্যাবের ডিজি বেনজির আহম্মেদ অত্যন্ত চমৎকার একজন অফিসার, পুলিশ কমিশনার থাকার সময় প্রতিবছর কোরবানী ঈদে যানজট ও চামড়া পাচার নিয়ে অনেক সভার আয়োজন করেছেন এবং সেগুলোতে আমি যোগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে র্যাবের পরিবর্তন হয়েছে। নারায়নগঞ্জের দুর্নাম ঘুচানোর চেষ্টা করছেন। মাদক নিয়ন্ত্রণে র্যাব দায়িত্ব নিলে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে পারলে, বিজিবি বর্ডার পাহাড়ার ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে পারলে এবং আমরা যারা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, থানা আওয়ামীলীগের দায়িত্বে আছি এবং স্ব-স্ব এলাকার জনসাধারণ যদি রাস্তায় বেরিয়ে আসি তবে এক মাসের মধ্যে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেয়া সম্ভব। নির্বাচনের আগেই র্যাবকে দায়িত্ব দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা হোক। আওয়ামীলীগের মাঠের কর্মী মাঠে থাকবে মাদক নিয়ন্ত্রণে। জনতার কাছে ভোট চাইতে হবে না। শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন, দেশপ্রেম, সততার পুরস্কার হিসেবে জনগণ নির্বাচনের সময় নৌকা মার্কা খোঁজ করে সিল দিয়ে যাবে। একটি স্লোগানের মাধ্যমে আজকের লেখা শেষ করতে চাই – “আর কোন দাবী নাই, মাদকমুক্ত সমাজ চাই। শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার”।