কলাপাড়ায় ১৫ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো
উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তিনটি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। উপজেলার ধুলাসার,ডাবলুগঞ্জ ও মহীপুর ইউনিয়নের স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাসহ লোকজন প্রতিদিনই এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে। বর্ষা এলে তাদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। এছাড়া অসুস্থ ও গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো পার হতে হয়। আবার অনেকেই পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এ দুর্দশা লাঘবে সড়ক ও সেতু নির্মাণে প্রতিশ্রুতি থাকলেও এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেই বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে এলাকার লোকজনের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে কয়েক বছরের মধ্যে বাঁশ পচে নষ্ট হয়ে যায়। আর সাঁকো মেরামত করা হয়নি। এলাকার লোকজন বাঁশ ক্রয় করে পুনরায় সাঁকোটি মেরামত করে। এরপর আবারও বাঁশগুলো আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কলেজছাত্র মো. ছোবহান বলেন, বাঁশ ও দড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। এছাড়া এ সেতুটি পার হতে গিয়ে অনেকই বই খাতা নিয়ে খালে পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ আহত হয়েছেন। মনসাতলী গ্রামের জামাল মৃধা জানান, তারিকাটা পয়েন্টে একটি ব্র্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় ১৫ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়া জনপ্রতিনিধিরা সড়ক ও সেতু নির্মাণে প্রতিশ্রতি দিলেও এখনো সেই প্রতিশ্রতির বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে এলাকাবাসীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ বাঁশের সাঁকোটি পার হচ্ছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, তিনি এটি পর্যবেক্ষন করেছেন।
ওই পয়েন্টে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সম্পাদনা : মুরাদ হাসান