কোটা সংস্কারের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ
নাহিদুল ইসলাম
বাংলাদেশে কোটা পদ্ধতি থাকার কারণে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী পিছিয়ে পড়েছে। কোটা পদ্ধতি থাকার জন্য মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ন্যায্য অধিকারের স্থানটি পাচ্ছে না।
এ কোটা পদ্ধতির জন্য ভাল চাকরির স্থান থেকে ঝরে পড়ে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরির বাজারে যথাযথ স্থান না পেয়ে তাদের মনমানসিকতা সংকীর্ণ হয়ে যায়। গতকাল রাতে কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল, সেখানে পুলিশ আমাদের উপর এমন ভাবে টিয়ারসেল ও গ্যাস মেরেছে, এটি আমাদের জন্য অনেক বেদনা দায়ক। পুলিশ আমাদের উপর এমন অত্যাচার করবেন সেটি ভাবতে পারিনি। সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরই মেধা অনুযায়ি নির্দিষ্ট লক্ষে পৌছানোর জন্য এ কোটা সংস্কার করা দরকার। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাদেরকে আমরা সম্মান করি। তাদের জন্য যে ৩০% কোটা দেওয়া হয়েছে, তাদের এই ৩০% কোটা অনেক বেশি হয়ে যায়। তাদের একোটা একটু কমিয়ে আনা দরকার। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০% থেকে কমিয়ে ১০% আনা উচিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১০% দিয়ে, বাকি যতগুলো কোটা আছে সব সংস্কার করা দরকার। এনিয়ম করলে যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটা আছে, তারাও খুশি থাকবে এবং আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরাও খুশি থাকবে।
পরিচিতি : ছাত্র, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি/ মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ