আশ্বাস নয় প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
শোভন দত্ত: সন্ধ্যায় সরকারের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তাদের দাবি হচ্ছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত কোটা সংস্কারের তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত না আসছে বা প্রজ্ঞাপন জারি না হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ একইসঙ্গে আটককৃতদের ছেড়ে দিতে হবে।
তাদের এই ঘোষণায় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্য, টিএসসি, রোকেয়া হল এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা রাতে শাহবাগ থেকে টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও নীলক্ষেতের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। ক্যাম্পাসজুড়ে খ- খ- মিছিল চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তারা শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।
‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে এই আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের অবস্থান থেকে মাইকে বলেন, “সব শিক্ষার্থী আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয়। এ কারণে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শিক্ষার্থীরা বলছে, আগামী মাসে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা। শুরু হবে রমজান মাস। এই পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে মুলা ঝুলিয়েছে সরকার। তারা সিদ্ধান্ত মানবে না। কোটা সংস্কারের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধির বৈঠকের সময়ই বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে শুরু করেছিলেন।
আন্দোলনকারীরা অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে তাদের নতুন করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে বৈঠকে ২০ সদস্য অংশ নেয়। গতকাল সোমবার সেতু মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয? কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মী কানিজ ফাতেমা, আফসানা সাফা, একরামুল হক, আল ইমরান হোসাইন, লীনা মিত্র, আরজিনা হাসান, লুবনা জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।