ঢাবির ভিসির বাসভবনে হামলায় সংসদে উদ্বেগ ও নিন্দা
হুমায়ুন কবির খোকন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসায় রোববার গভীর রাতে হামলার ঘটনায় সংসদে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের অনির্ধারিত আলোচনায় এই নিন্দা জানানো হয়। আলোচনায় সংসদ সদস্যরা বলেন, যারা মুখোশ পরে এই ধরনের আক্রমণ করেছে তারা কাপুরুষ। মৃত্যুর মিথ্যা স্টেটাস যারা দিয়েছেন তারা তো জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট।
প্রথমেই আলোচনার সূত্রপাত করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। একপর্যায়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম তো আমরা করেছি। কিন্তু মুখোশ পরতে হবে কেন। কেন গভীর রাতে আন্দোলনের নামে ভিসির বাড়ির ঘর ভাঙচুর করতে হবে। কেন মেয়েদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে হবে। সাহস থাকলে মুখটা দেখা, লজ্জা করে না।
গণজাগরণমঞ্চের আহ্ববায়ক ড. ইমরান এইচ সরকারকে ইঙ্গিত করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ফেসবুক ব্যবহার করে যে মারা যায়নি তাকে মেরে ফেলবেন। আমি আবারও বলতে চাই, মুখোশ পরে হামলা কেন?, কাপুরুষ, মুখ দেখানোর সাহস থাকে না। আবার তারা আসে কোটা আদায়ের জন্য উপচার্যের বাড়ি ভাঙচুর করতে।
তিনি বলেন, আসল সমস্যা মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। পৃথিবীর দেশে দেশে মুক্তিযুদ্ধে বা দেশের সার্র্বভৌমত্বের কারণে যারা জীবন বাজি রাখে তাদের সুযোগ দেয়া হয়। যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে তাদের সন্তানরা সুযোগ পাবে না, তাদের বাদ রেখে রাজাকারের বাচ্চাদের সুযোগ দিতে হবে?
তারানা হালিম বলেন, তিনি গণজাগরণমঞ্চের আহ্ববায়ক ড. ইমরান এইচ সরকারের নাম না নিয়ে বলেন, হঠাৎ করে একজনের পোস্ট দেয়া হলো। তিনি লিখেছেন আন্দোলনরত আহত একজন মারা গেছেন। পরে সেই কথিত ব্যক্তি এ বি সিদ্দিক নিজেই স্টেটাস দিলেন তিনি মারা যাননি। আলোচনার সূত্রপাত করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ম আলী ফরাজী বলেন, কোটাব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে তা আমাদের নাড়া দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রেখেছিলেন। এখন কোটা বাড়তে বাড়তে ৫৬ শতাংশ হয়েছে। এটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এরপর ঢাকা-১৭ এর এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোটা নিয়ে যে আন্দোলন এখন আর আন্দোলনের মধ্যে নেই এটি বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ করে আমাদের পুলিশ বাহিনী এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছে। এটি সঠিক হয়নি। সম্পাদনা: আনিস রহমান