সিএনজিতে সুটকেসে লাশ ফেলে পালালো তরুণী!
সুজন কৈরী : রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় সুটকেসে পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তির লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে এক তরুণী। পরে পুলিশ গত রোববার রাতে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রাতে পুলিশ জানায় ঐ ব্যাক্তির নাম শাহ আলম ভূইয়া, বয়স ৬০ এবং তিনি জনরপ্তানিকারক ব্যবসায় জড়িত ছিল । পরে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
সবুজবাগ থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান জানান, সুটকেসটির ওপরে ওড়না পেঁচানো ছিল ও স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। লাশের গলায় রশি দিয়ে গিঁট দেওয়া ছিল। তার হাঁটুতে সামান্য রক্ত জমাটবাধা ছিল। মুখে ছিল পাকা দাড়ি। সুটকেসের ভেতরে একটি কালো বোরখা পাওয়া গেছে।
এসআই আরো জানান, সিএনজি চালকের বর্ণনা অনুযায়ী, রোববার রাতে ২০/২১ বছরের এক তরুণী একটি সুটকেসসহ বনশ্রী এলাকা থেকে একটি সিএনজিযোগে মাদারটেক প্রজেক্টের সামনে যায়। সেখানে তার সিএনজিটি থামিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের নয়াপুর যাওয়ার কথা বলে ৫শ’ টাকায় আরেকটি সিএনজি ভাড়া করে। পরে ভাড়া করা সিএনজিচালককে তরুণীটি জানায়, সুটকেসের ভেতরে কাচের জিনিসপত্র আছে, সাবধানে ওঠাতে হবে। তার কথামতো আরো দুই সিএনজিচালকের সহায়তায় ভারি সুটকেসটি আগের সিএনজি থেকে পরেরটিতে ওঠানো হয়। এরপর সিএনজিটি নয়াপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
কামরুজ্জামান জানান, সিএনজিটি নন্দিপাড়া ব্রিজমুখী সিসিলি গার্মেন্টের সামনে আসে। ওই সময় রাস্তায় যানজটও ছিল। তখন সিএনজি যাত্রী ওই তরুণী সিএনজিচালক মজিবরকে বলেন, আমার পানির পিপাসা পেয়েছে, পানি কিনবো। তখন সিএনজিচালক সিএনজিটি রাস্তার এক পাশে থামান। ওই নারী পানি আনার জন্য নেমে গিয়ে আর ফিরেনি। প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর ওই নারী ফিরে না আসায় চালক নেমে আশপাশে খবর নেন। তাকে একজন পথচারী বলেন, এক মেয়েকে দেখেছি দৌড়ে চলে যেতে। এতে সন্দেহ হলে চালক আবার সিএনজি ঘুরিয়ে মাদারটেক প্রজেক্টের সামনে চলে আসেন এবং সুটকেসটিতে কী আছে তা জানতে প্রথমে নাড়াচাড়া করেন। তার দাবি, সুটকেসের চেইনের কিছু অংশ খুলে ফাঁক দিয়ে ভেতরে মানুষের মাথা দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেন। এসআই জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। সিএনজি আরোহী ওই তরুণীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।