অসহায়তার সুযোগ নিয়ে প্রতারকরা প্রতারণা করে
ডা. মো. তাজুল ইসলাম
আমাদের দেশে সব জায়গাতেই দালাল আছে। তবে পঙ্গু হাসপাতালে দালালের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। তার কারণ হচ্ছে, মানুষের দুর্ভোগ এবং কষ্টকে পুঁজি করে তারা ব্যবসা করে। একটা অমানবিক ব্যবসা এটা। যে সমস্ত রোগি বেশি অসুস্থ থাকে, দেখা যায় সরকারি হাসপাতালে সহজে ভর্তি হওয়া যায় না, অথবা সিট খালি থাকে না, তখন দালালরা সুযোগ নেয়। দালালরা তখন বলে, চলুন আপনাদেরকে ভাল হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভিকটিমরা তখন আর কোন উপায় না পেয়ে দালালদের কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়। পঙ্গুত্ব হচ্ছে এমন একটা জায়গা, যেখানে মানুষ সরাসরি আহত হয়। সেটা হোক সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্য কোন ভাবে দুর্ঘটনায়। এটা জীবনের সব থেকে বড় গুরুতর একটা সময়। খুবই করুণ অবস্থা থাকে এ সময়। সত্যি কথা বলতে, আমাদের যে সরকারি পঙ্গু হাসপাতালগুলো আছে, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে এ রকম একটা চিকিৎসা পাওয়ার জন্য ভিকটিমরা খুবই উদ্বিগ্ন থাকে, তাড়াতাড়ি একটা ভাল চিকিৎসা পেতে চায়। কিন্তু যখন তারা সেটা পায় না, তখন তারা হতাশায় পড়ে যায়। অসহায় অবস্থায় যখন কেউ বলে যে চলুন, আমরা কিছু একটা করে দিচ্ছি। তখন ভিকটিমরা টাকা পয়সা বেশি দিয়ে হলেও ওদের সাথে যেতে রাজি হয়। আর দালালরা এই অসহায়তার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করে। এটার প্রতিকার হচ্ছে, প্রথমত : হাসপাতালের সার্বিক দিকগুলোকে আরো উন্নত করা, দ্বিতীয়ত : হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য লোকবল বাড়ানো, তৃতীয়ত : সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ানো এবং চতুর্থত: বিশেষ করে পঙ্গু হাসপাতাল, যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি অবস্থায় মানুষ আসে, তাদের জন্য যেভাবে হোক একটা তাৎক্ষণিক সেবার ব্যবস্থা করা। সেটা হোক সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি হাসপাতাল ।
পরিচিতি : লেখক ও চিকিৎসক/মতামত গ্রহণ : এইচ. এম. মেহেদী/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ