জেটিপিডিসি’র ২২ প্রযুক্তির সুতা ও পাটপণ্য উদ্যোক্তার অভাবে আসতে পারছে না বাজারে
মতিনুজ্জামান মিটু: উদ্যোক্তার অভাবে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের জেটিপিডিসি’র সম্ভাবনাময় ১০ ধরণের জুট কটন ব্লেন্ডিং সূতাসহ ২২ প্রযুক্তির পাটপণ্য বাজারে আসতে পারছেনা।
জুট এন্ড টেক্সটাইল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের এক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় সম্ভাবনাময় পণ্যগুলো শুধুমাত্র আর্থিক সংকটের কারণেই বাজারজাত করা যাচ্ছে না। জানা যায়, জেটিপিডিসি উদ্ভাবিত এই ২২ প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন ব্লেন্ডিং ইয়ারন অফ এইট সিঙ্গেল কাউন্ট, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন ব্লেন্ডিং ইয়ারন অফ টেন সিঙ্গেল কাউন্ট, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন ব্লেন্ডিং ইয়ারন অফ ফিফটিন সিঙ্গেল কাউন্ট, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন ব্লেন্ডিং ইয়ারন অফ টুয়েন্টি সিঙ্গেল কাউন্ট, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন এবং উড সেল ব্লেন্ডিং ইয়ারন অফ এইট সিঙ্গেল কাউন্ট, টেন সিঙ্গেল কাউন্ট, ফিফটিন সিঙ্গেল কাউন্ট এবং টুয়েন্টি সিঙ্গেল কাউন্ট, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন এন্ড জুট সেল ব্লেন্ডিং ইয়ারন অফ এইট সিঙ্গেল কাউন্ট, টেন সিঙ্গেল কাউন্ট, ফিফটিন সিঙ্গেল কাউন্ট ও টুয়েন্টি সিঙ্গেল কাউন্ট, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন এবং সীপ উল ব্লেন্ডিং ইয়ারন অফ এইট সিঙ্গেল কাউন্ট, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ ফার্নিসিং ফেবরিক, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ সাটির্ং ফেব্রিক(প্লেইন, চেক, এসটিরিপ), টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ পাঞ্জাবী ফেবরিক (প্লেইন, চেক, এসটিরিপ), টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ সুটিং ফেবরিক, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ ডেনিম ফেবরিক, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন এন্ড সীপ উল ব্লেন্ডেড ব্লাংকেট, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন এন্ড সীপ উল ব্লেন্ডেড লেডিস শাল, টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন এন্ড বানানা ব্লেন্ডেড ফাইবার ও টেকনোলোজি ফর দি প্রোডাকশন অফ জুট-কটন ব্লেন্ডেড লো কস্ট শপিং ব্যাগ। ১৯৯২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জেটিপিডিসি বিজ্ঞানীদের নিবিড় গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত এসব প্রযুক্তিগুলোর বেশ কয়েকটির পেটেন্ট এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্বারকও স্বাক্ষর হয়েছে।
জেটিপিডিসি (জুট এন্ড টেক্সটাইল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টার) এর পরিচালক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন) ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তারিক হোসেনসহ একদল বিজ্ঞানীর ক্রমাগত প্রচেষ্টার পরেও প্রযুক্তিগুলো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত মানুষ এসে এসব সূতা ও পণ্য চাইলেও দেয়া যাচ্ছেনা। দেশে বানিজ্যিক ভাবে এধরনের সুতা তৈরীর মিল গড়ে ওঠেনি।
এ ব্যাপারে ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল কালাম আজাদ বলেন, পাট পণ্যের বহুমুখি ব্যবহার বাড়াতে পাটের সঙ্গে ভেড়ার লোম মিশিয়ে ওইসব জুট কটন ব্লেন্ডিং সুতা উদ্ভাবন করা হয়েছে। দেশে গত বছর ৯০ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে। এই সঙ্গে দেশে বর্তমানে ৩৪ লাখ ভেড়া রয়েছে। এই ভেড়া থেকে বছরে ৩৪০০ মেট্রিক টন লোম উৎপাদন হয়। বানিজ্যিকভাবে জুটের সঙ্গে ভেড়ার লোম মিশিয়ে সূতা তৈরী করা হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। দেশে বর্তমানে কাঁচা ও পাটজাত দ্রব্যের রপ্তানী এবং আভ্যন্তরিন বাজারে পাটের ব্যবহার বাড়ছে। পাটপণ্যের ব্যাপারে দেশের মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ এবং আবেগ রয়েছে। একে কাজে লাগানো গেলে পাটের সুদিন ফিরে আসবে। সম্পাদনা:হুমায়ুন কবির খোকন