বাংলাদেশ নারী দলের সহকারী কোচ ভারতের দেবিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : সালমা-জাহানারাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ডেভিড ক্যাপেলের কাঁধে। দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশ নারী দলকে বদলে দেওয়ার বাণী শুনিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও শেষ পর্যন্ত তা করেনি বিসিবির উইমেন্স উইং কমিটি। তবে সালমা-জাহানারাদের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ দেবিকা পালশিখরকে।
প্রমীলা বিশ্বকাপ সামনে রেখে নারী দলের স্কিল বাড়াতে যোগ দেয়া হয়েছে দেবিকাকে। তবে তিনি দায়িত্ব নিয়ে ক্যাপেলের মতো দলকে বদলে দেওয়ার কথা বলেননি। নারী দলের খেলোয়াড়দের স্কিল বাড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে জানান এ ভারতীয় কোচ। ফলাফলটা ভাগ্যের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারী বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই উৎরাতে হবে বাছাইপর্ব। তবে এর আগে আরও চারটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলবেন রুমানারা। বিশেষ কোন টুর্নামেন্টকে লক্ষ্যে না নিয়ে ধাপে ধাপে এগুতে চান দেবিকা।
খুব অল্প সময় অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবেন দেবিকা। তবে এই সময়েই ব্যাটসম্যানদের বড় উন্নতির জন্য যথেষ্টই বলছেন তিনি, ‘আমি যদি দ্রুত মেয়েদের বুঝতে পারি, তাহলে পরিবর্তন আনতে খুব বেশি সময়ের দরকার নেই। তবে তাদের সঠিক কাজটা করার ইচ্ছে থাকতে হবে। সময় খুব বড় ব্যাপার নয়, যদি তারা যদি প্রস্তুত থাকে।’ ঘরোয়া অনেক জায়গায় কোচিং করালেও দেশের বাইরে এবারই প্রথম কাজ করবেন দেবিকা। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের খোঁজ খবর ভালো রেখেছেন তিনি।
মোটামুটি অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেনলেন রোমানাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা।
পুনের মেয়ে দেবিকা ১৯৯৮ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করে ২০১১ সালে ইতি টানেন। এরপর ২০০৯ সালে শুরু করেন কোচিং অধ্যায়। বাংলাদেশে আসার আগে ছিলেন গোয়ার কোচ। দুই মৌসুম তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে নয় থেকে দশ বছরের অভিজ্ঞতা আছে দেবিকার।