ভাইরাস থাকায় সুনামগঞ্জে ধানে ব্লাস্ট রোগ
নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার হাওরের বোরো জমিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগ। এ নতুন রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকরা আতঙ্কিত।
এতে হাওরের কৃষকের নিশ্বাস দীর্ঘ হচ্ছে। অপরিচিত ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের সঙ্গে পরিচয় না থাকায় প্রতিরোধের উপায়ও জানা নেই কৃষকের। তাছাড়া জমির ধানের শীষে রোগ ছড়িয়ে পড়ায় এখন আর প্রতিরোধ করার পর্যায়ে নেই বলে জানান কৃষিবিদরা। তাই চোখের সামনেই নষ্ট হচ্ছে হাওরের বিস্তৃত জমির ব্রি-২৮ জাতের ধান। আক্রান্ত জমির ধান গাছে কৃষকরা ছত্রাকনাশক ট্রুপার স্প্রে ব্যবহার করেও ধানের গাছ রোগ মুক্ত হচ্ছে না। অনেক হাওরে ধান কাটা শুরু হলেও কিছু কিছু হাওরের ধানে ছত্রাকজনিত ব্লাস্টের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। হাওরের জমিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগটি। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগ প্রদত্ত হাইব্রিড ও উফশী জাতের বীজেই ব্লাস্ট দেখা দিয়েছে। ছাতকের চৌকা গ্রামের কৃষক রাজন মিয়া জানান, ব্লাস্ট রোগে ব্রি- ২৮ ধান আক্রান্ত হওয়ায় মরে যাচ্ছে। এ রোগ কম সময়ে দ্রুত জমিতে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকার কৃষকরা দিশেহারা। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার সাহা বলেন, জমি আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে স্প্রে ছিটানো না হলে ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের এগ্রোনমি এন্ড হাওর এগ্রিকালচার বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের কারণে হাওরে এই রোগ মহামারির মতো ছড়িয়েছে।
আগামী বছর কোন মতেই এই বীজ সংগ্রহ করা উচিত নয় এবং আগামী ২-৩ বছর আক্রান্ত জমিতে অন্য প্রজাতির ধান লাগাতে হবে।