বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে যাচ্ছে ৪ মে
তরিকুল ইসলাম সুমন: বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ আগামী ৪ মে ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। তবে এটি কবে থেকে কার্যকর হবে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিটিআরসি সূত্র জানায়, এটি কার্যকরের দায়িত্ব বিটিআরসির।
গতকাল সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু মহাকাশে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানারভাল স্পেস সেন্টারের লঞ্চপ্যাড থেকে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানো হবে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। স্যাটেলাইটের কাঠামো তৈরি, উৎক্ষেপণ, ভূমি ও মহাকাশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ভূ-স্তরে দুটি স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব এ প্রতিষ্ঠানটিরি। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। অন্যগুলো ভাড়া দেওয়া হবে। স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু এর গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করা হয়েছে গাজীপুর ও রাঙ্গামাটিতে।
উল্লেখ্য, ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রির অরবিটাল স্লটে (নিরক্ষরেখায়) উড়বে বাংলাদেশের নিজস্ব প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে ১৫ বছরের জন্য অরবিটাল স্লট বা নিরক্ষরেখা (১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি) লিজ নিয়েছে বাংলাদেশ। ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয়ে এ স্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারস্পুটনিকের সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তি হলেও এ চুক্তি তিন ধাপে ৪৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এই প্রকল্পে সরকারের যে টাকা খরচ হবে তা স্যাটেলাইট ভাড়া দিয়ে ৮ বছরে তুলে এনে এই প্রকল্পকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকায় ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কিনতে থালেসের সঙ্গে চুক্তি করে বিটিআরসি।