রামুতে বলাৎকারে বাধা দেয়ায় ভাতিজাকে হত্যা
রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ি ইউনিয়ন ঈদগড়ে ৮ বছরের ভাতিজাকে বলৎকারের চেষ্টা ও হত্যার অভিযোগে তার চাচাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের কালিয়ারছড়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে চাচা নুরুজ্জমানকে (৩৪) ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। নিহত শিশু ঈদগড়ের টুঠারবিলের হাবিবুর রহমানের ছেলে। আর ঘাতক একই এলাকার দুদুমিয়ার ছেলে। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত নুরুজ্জমা নিহতের মরদেহ কোলে করে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেসময় শিশুটি পানিতে পড়ে মারা গেছে বলে প্রচারণা চালায় হত্যার দায়ে অভিযুক্ত যুবক। পরদিন বুধবার ওই শিশুকে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়। নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারী সম্পর্কে আমার ভাই। তাই ঘাতকের কথা বিশ্বাস করে আমার শিশু পানিতে পড়ে মারা গেছে মনে করে পারিবারিকভাবে দাফন করি। কিন্তু দাফনের পর আমার ছেলের সমবয়সীরা আমাকে ও এলাকাবাসীকে জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ঘাতক নুরুজ্জামান আমার ছেলেকে মাঠ থেকে নিয়ে আসে। এরপর তাকে বলৎকারের চেষ্টা করে। কিন্তু আমার ছেলে বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করে ডোবাতে ফেলে দেয়। পরে সন্ধ্যায় মৃতদেহ পানি থেকে তুলে আবার আমার বাড়িতে নিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন, শিশুদের এমন কথা শোনার পর এলাকাবাসীসহ আমি ঘাতকের বাড়ি যাই। কিন্তু সে তখন বাড়িতে ছিল না। তখন আমার সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। পরে শুক্রবার তাকে জঙ্গল থেকে আটক করে এলাকাবাসী। এরপর পুলিশে সোপর্দ করি। রামু থানা পুলিশের ওসি লিয়াকত আলী সিকদার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নুরুজ্জামান শিশুটিকে বলৎকারের চেষ্টা ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
এঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করবে।
তিনি আরও বলেন, মামলা হবার পর আটককে আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি নিহতের মৃতদেহ উত্তোলনের আবেদন করা হবে। আদালতের আদেশ পেলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানান ওসি। সম্পাদনা: আবদুল্লাহ মজুমদার