নববর্ষে ফুল-বাতাসা দিয়ে ডিএমপির শুভেচ্ছা
সুজন কৈরী : বাতাসা ও গোলাপ ফুল দিয়ে নববর্ষের উৎসবে আগতদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বাংলা বছরের শুরুর দিন শনিবার রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে বাতাসা ও গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা উৎসবে আগতদের হাতে ফুল ও বাতাসা তুলে দিয়েছেন।
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে আগতদের ডিএমপির পক্ষ থেকে ফুল ও বাতাসা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার ভোর সোয়া ৬টা থেকে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ বরণে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের টিএসসি, ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর ও হাতিরঝিল এলাকায় রাজধানীবাসীর ঢল নামে। এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান। রমনা বটমূলকে ঘিরে জড়ো হয় অগনতি সংস্কৃতিপ্রাণ মানুষ। ছায়ানটের শিল্পী-কর্মীদের জন্য বটমূল সংলগ্ন সামান্য জায়গা ছাড়া প্রায় গোটা প্রাঙ্গণই সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। বটমূলের বর্ষবরণ আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রমনা পার্কের চারটি প্রবেশ গেট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমূখে যারাই প্রবেশ করছেন, কেউ যেন খালি হাতে ঢুকছেন না। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার হাতেই গোলাপ ফুল ও বাতাসা দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এমন অ্যাপ্যায়নে মুগ্ধ ছিলেন আগত সকলেই। শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে তল্লাশির পর রমনা পার্কে প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল অনেক বড় লম্বা লাইনের। শুধু ফুল-বাতাসাই নয়, রমনা বটমূলের পাশেই সবাইকে বিশুদ্ধ পানিও বিতরণ করছে ডিএমপি।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহাড়ায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার শ্লোগান ছিল ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।’ শোভাযাত্রাটি হোটেলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল (সাবেক রূপসী বাংলা)- শাহবাগ ও টিএসসি মোড় ঘুরে আবারো চারুকলার সামনে গিয়ে শেষ হয়।