কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত তিনটি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ
এনজেলিন মনি
টিভি চ্যানেলে দেখানো হচ্ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটা সংগঠন কোটার সংস্কার চাই না মর্মে স্বারকলিপি দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসকের কাছে। এখন যদি বাতিল করে দেওয়া হয়, তাহলে কি তারা মাঠে নামবে না? যদি তারা এবং তাঁদের সন্তানরা মাঠে নামে, তাহলে মিডিয়া কাভারেজ পাবে শতভাগ। তারা আন্দোলন করবে গুটিকয়েক মানুষ। চ্যানেলগুলি প্রচার করবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। তারপর সরকার বলবে, কোটা বহাল থাকবে। কারণ, মুক্তিযোদ্ধারা মাঠে নেমেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামলে আমরা হয়ে যাব রাজাকার। ধরে নিন, মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানরা মাঠে নামলেন না কিন্তু তাঁরা হাইকোর্টে একটা রিট করলো, রিট করে আপাতত একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। তারপর হাইকোর্টে মামলা চলতে থাকল মুক্তিযোদ্ধা বনাম সাধারণ ছাত্র। এই মামলা আর শেষ হবে না।
সরকার বলবে, আমরাতো কোটা বাতিল করেছি, আদালত সিদ্ধান্ত দিলে আমরা কি করবো? ধরে নিন, মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের সন্তানরা মাঠে নামেননি, হাইকোর্টে যাননি, সরকারও কোটা বাতিল করেছে। তারপরও নতুন একটি নিয়ম পাস হলো: আইনটি হতে পারে- একজন বিজ্ঞ আইনজীবি একটা উদাহরণ দিয়েছেন। ধরুণ, ৫০০ জন নিয়োগ করা হবে। সরকার ২৫০ জন করে দুভ’াগ করবে। ২৫০ জন শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আর বাকি ২৫০ জন বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। আর এই বিশেষ পরীক্ষা মানে কোটা। (ভুলে গেলে চলবে না বিশেষ ব্যবস্থার কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন তার ভাষণে)। তাহলে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে আবার কোটাও থেকে যাবে। তাহলে ফলাফল কি হবে? যে লাউ সেই কদু! একটু ভেবে দেখুন।
পরিচিতি :এনজেলিন মনি/ছাএী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়/মতামত গ্রহণ: নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ